পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শামী বিবেকানন্দ । সাধনা সম্বন্ধে উপদেশ দিতেন। বলিতেন। তিনি কাল, তিনি পরিবর্তন, তিনি অনন্ত শক্তি। মা যে শুধু দয়াময়ী, সুখবিধায়িনী নহেন, তিনি যে ভীমা, মৃত্যুরূপ, দুঃখদাত্রী, রোগশোকসন্তাপের জননী, এই ভাবে মাকে ধারণা করিতে তিনি পুনঃপুনঃ উপদেশ দিতেন । তিনি বলিতেন “ভীমার উপাসনা দ্বারাই ভয় হইতে পরিত্রাণ পাইয়া অনন্ত জীবন লাভ করা যায। মৃত্যুকে চিন্তা কর; লোলািরসন করালিনীকে ধ্যান কর। মাই স্বয়ং ব্ৰহ্ম। তঁায় অভিশাপও আশাব্বাদ । হৃদয়টাকে শ্মশান করিয়া ফেল । তবে মারা দেখা পাবে।” তঁহার “নাচুক তাহাতে শ্যাম।” কবিতাটিতেও এই ভােবই পরিস্ফুটরাপে ব্যক্ত হইয়াছে— “দেহ চায় সুখের সঙ্গম, চিত্ত বিহঙ্গম সঙ্গীত সুধার ধার। মন চায় হাসির হিন্দোল, প্ৰাণ সদা লোল, যাইতে দুঃখের পার ॥ ছাড়ি হিমা শশাঙ্কচ্ছটায়, কেবা বল চায়, মধ্যায়ু তপনজ্বালা । প্ৰাণ যার চণ্ড দিবাকর, স্নিগ্ধ শশধর, সেও তবু লাগে ভালো ॥ সুখতরে সবাই কাতর, কেবা সে পামর, দুঃখে যার ভালবাসা। সুখে দুঃখ, অমৃতে গরল, কণ্ঠে হলাহল, তবু নাহি ছাড়ে আশ ৷ রুদ্রসুখে সবাই ডরায়, কেহ নাহি চায়, মৃত্যুরূপ এলোকেশী। উষ্ণ ধার, রুধির উদগার, ভীম তরবার খসাইয়া দেয় বঁাশী ৷ সত্য তুমি মৃত্যুরূপী কালী, সুখ বনমালী, তোমার মায়ার ছায়া। করালিনী কর কণ্ঠচ্ছেদ, হোক মায়াভেদ, সুখস্বপ্নে দেহে দয়া৷” বাস্তবিক জীবমাত্ৰেই সুখের জন্য পাগল। সুখদুঃখ মিশ্রিত এই পরীক্ষাগারে দুঃখ ছাড়িয়া উদভ্ৰান্তের মত শুধু সুখ-মন্দিরার b”}ምቲ8