পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমরনাথ ও ক্ষীরভবানী বা কি ? তোর তাতে কি ? তুই আমায় রক্ষে করেছিল না। আমি তোকে রক্ষে করছি ?” সুতরাং আর আমার স্বদেশের ভাবনা ভাবার কি দরকার ? আমি ত ক্ষুদ্র শিশু মাত্র।” যে ঘটনার প্রতি লক্ষ্য করিয়া তিনি এই কথা বলিলেন সে ঘটনাটি এই-ক্ষীরভবানীর মন্দিরে একদিন তিনি মুসলমানদিগের অত্যাচারে বিধ্বস্ত মন্দিরেব ধ্বংসাবশেষ ও প্ৰতিমার দুর্দশ দর্শনে অত্যন্ত ব্যথিত হইয়া চিন্তা করিতেছিলেন “কেমন ক’রে লোকে এসব অত্যাচাব নীরবে সহ ক’রেছে ? প্ৰতীকারের জন্য বিন্দুমাত্র চেষ্টা করেনি। আমি যদি সে সমযে থাকতুম কখনও এরকম হ’তে দিতুম না। প্ৰাণ দিয়েও মাকে রক্ষণ কবুতুম।” ঠিক সেই সমযে উপরোক্ত দৈববাণী তাহার কর্ণগোচর হয় । কিঞ্চিৎ পরে তিনি আবার আপন মনে চিন্তা করিতে লাগিলেন যে যদি তিনি নিজে একটি নূতন মন্দির প্রতিষ্ঠা করিতে পারিতেন তাহা হইলে বড় সুখের বিষয় হইত। আবার সহসা মার কণ্ঠধ্বনি শ্রবণ করিয়া তিনি সুপ্তোখিতের ন্যায় চমকিত হইয়া উঠিলেন-স্পষ্ট শুনিলেন মা বলিতেছেন“বৎস ! আমি মনে করিলে অসংখ্য মন্দির ও মঠ স্থাপন করিক্ষেত পারি। এই মুহূৰ্ত্তেই এখানে প্ৰকাণ্ড সপ্তাতল সুবর্ণমন্দির নিৰ্ম্মিত হইতে পারে।” এই দৈববাণী শ্ৰবণাবধি স্বামিজী মন হইতে সকল সংকল্প পরিত্যাগ করেন, বুঝিলেন মারা যাহা ইচ্ছা! তাহাই হইবে। শিষ্যেরা এই অদ্ভুত বৃত্তান্ত শুনিয়া রোমাঞ্চিতকলেবরে নিঃশব্দে উপবিষ্ট রহিলেন, সমুদয় স্থানটি যেন কিয়ৎক্ষণ এক মৌন চিন্তায় নিমগ্ন রহিল। স্বামিজী বলিলেন