পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিকট অবস্থান করিতে লাগিলেন এবং হিন্দু ব্ৰহ্মচারিণীর ন্যায় জীবনযাপন করিতে লাগিলেন। ৯ই ডিসেম্বর মঠস্থাপন উপলক্ষে উৎসব হইল, স্বামিজী স্বয়ং প্রত্যুষে উঠিয়া গঙ্গাস্নানান্তে শ্ৰীরামকৃষ্ণদেবের শ্ৰীপাদুকায় বিন্বাদল ও পুষ্পাঞ্জলি প্ৰদান করিয়া ধ্যানস্থ হইলেন এবং ধ্যান পূজাবুসানে স্বয়ং দক্ষিণস্কন্ধে তাম্রনিৰ্ম্মিত কোঁটায় রক্ষিত শ্ৰীরামকৃষ্ণদেবের ভস্মাস্থি লইয়া অন্যান্য সন্ন্যাসিগণ সহ শঙ্খঘণ্টারোলে গঙ্গাতটি মুখরিত করিয়া নূতন মঠভূমিতে উপনীত হইলেন। যাইতে যাইতে পথিমধ্যে জনৈক শিষ্যকে বলিলেন “ঠাকুর আমায় বলেছিলেন “তুই কঁধে করে আমায় যেখানে নিয়ে যাবি আমি সেখানেই যাবে ও থাকবো। তা গাছতলাই কি, আর কুটীরই কি ” সে জন্যই আজ আমি স্বয়ং তঁকে কঁধে করে নূতন মঠভূমিতে নিয়ে যাচ্ছি। নিশ্চয় জানিবি, বহুকাল পৰ্যন্ত “বহুজনহিতায়” ঠাকুর ঐ স্থানে স্থির হ’য়ে থাকবেন।” তারপর বলিলেন “এই যে আমাদের মঠ হচ্ছে, এতে সকল মতের, সকল ভাবের সামঞ্জস্য থাকবে। ঠাকুরের যেমন উদার মত ছিল, এটি ঠিক সেই ভাবের কেন্দ্ৰস্থান হবে ; এখান থেকে যে মহা সমন্বয়ের উদ্ভিন্ন ছটা বেরুবে, তাতে জগৎ প্লাবিত হয়ে যাবে।” নূতন মঠভূমিতে উপস্থিত হইয়া তিনি স্কন্ধস্থিত কৌটাটী জমীতে বিস্তীর্ণ আসনোপরি রাখিয়া ভূমিষ্ঠ হইয়া প্ৰণাম, করিলেন। অপর সকলেও প্ৰণাম করিলেন। অনন্তর স্বামিজী পূজায় বসিলেন। পূজান্তে যজ্ঞাগ্নি প্রজ্জ্বলিত b冷之