পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । স্বামিজীকে লক্ষ্য করিয়া নাগমহাশয়ের জন্য প্ৰসাদ আনিতে বলিলেন। প্ৰসাদের কথা শুনিয়া নাগামহাশয় উচ্চৈঃস্বরে বলিয়া উঠিলেন ‘প্ৰসাদ! প্ৰসাদ !’ ( স্বামিজীর দিকে ফিরিয়া করযোড়ে) “আপনার দর্শনে আজ আমার ভবক্ষুধা দূৱ হ’যে গেছে ।” এই সময়ে মঠের সকল ব্ৰহ্মচারী ও সন্ন্যাসিগণ উপনিষদ পাঠ করিতেছিলেন। কিন্তু নাগমহাশয়ের শুভাগমনে স্বামিজীী তাহা বন্ধ করিয়া দিয়া সকলকে আসিয়া নাগমহাশয়কে দর্শন করিতে বলিলেন। সকলে আসিযা নাগমহাশয়কে ঘিরিয়া বসিলে স্বামিজী বলিলেন “দেখছিস। নাগমহাশয়কে দেখ; ইনি গোরস্ত বটে, কিন্তু জগৎটা আছে কি না সে বোধ নেই ; সব্বদা তন্ময় হ’য়ে আছেন।” তারপর নাগমহাশয়কে লক্ষ্য করিয়া বুলিলেন “এই সব ব্ৰহ্মচারী ও আমাদের সকলকে ঠাকুরেব কথা কিছু শুনান।” নাগ মঃ। ওকি বলেন । ওকি বলেন । আমি কি বলব ? আমি আপনাকে দেখতে এসেছি ; ঠাকুরের লীলার সাহায্য মহাবীরকে দর্শন করিতে এসেছি। ঠাকুরের কথা এখন লোকে বুঝবে। জয় রামকৃষ্ণ ! জয় রামকৃষ্ণ ! স্বামিজী। আপনিই তাকে ঠিক চিনেছেন। আমরা ঘুরে ঘুরেই মলুম। নাগ মঃ। ছি, ছি, ওকি কথা বলচোন। আপনি ঠাকুরের ছায়া-এপিঠ আয় ওপিঠ ; যার চোখ আছে, সে দেখুক । স্বামিজী। এই যে মঠ ফঠ হচ্ছে, একি ঠিক হচ্ছে? so