পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামিজী ও নাগমহাশয় । নাগ মঃ। আমি ক্ষুদ্র, আমি কি বুঝি ? আপনি যা কবৃবেন, নিশ্চয় জানি তাতে জগতের মঙ্গল হবে-মঙ্গল হবে। অনেকে নাগমহাশয়ের পদধূলি লইতে ব্যস্ত হওয়ায় নাগমহাশয় মহা সন্ত্রস্ত হইয়া উন্মাদের ন্যায় হইয়া উঠিলেন। তখন স্বামিজী সকলকে নিরস্ত করিয়া বলিলেন ‘যাতে এর কষ্ট হয়, তা ক’রো না ।” তারপর নাগমহাশয়কে বলিলেন “আপনি মঠে এসে থাকুন না কেন ? আপনাকে দেখে মঠের ছেলেরা কত জিনিষ শিখবে ?” নাগ মঃ । ঠাকুরকে ঈ কথা একবার জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তাতে তিনি বলেন “গৃহেই থেকে ।” তাই গৃহেই আছি, মধ্যে মধ্যে আপনাদিগকে দেখে। ধন্য হয়ে যাই । স্বামিজী। আমি একবার আপনার দেশে যাব। নাগমহাশয় আনন্দে অধীর হইয়া বলিলেন, “আহা ! এমন দিন কি হবে ? আপনার পায়ের ধূলো পড়লে দেশ কাশী হ’য়ে যাবে-কাণী হ’য়ে যাবে! সে সৌভাগ্য কি আমার অদৃষ্ট আছে ?” স্বামিজী। আমার ত ইচ্ছে আছে। এখন মা নিয়ে গেলে হয় । নাগ মঃ। আপনাকে কে বুঝবে-কে বুঝবে ? দিব্যদৃষ্টি না খুললে ত’ চিনবার যে নাই। একমাত্র ঠাকুরই ' চিনেছেন ; আর সকলে তঁর কথায় বিশ্বাস করে মাত্র, কিন্তু কিছু বোঝে না । স্বামিজী। এখন ক্ষমার একটি ইচ্ছে আছে, শুধু দেশকে