পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামিজী ও মাগমহাশয় । নাই, সেই তেজস্বী বীর্যহৃদয় বিবেকানন্দ আপনার আরবন্ধ কাৰ্য্য সম্বন্ধে সরলবুদ্ধি, গ্ৰাম্য, ক্ষাপটে () নাগমহাশয্যের মতামত গ্ৰহণ করা অনাবশ্যক মনে করেন নাই। ইহাতে র্তাহার আত্মকাৰ্য্যের উপর বিশ্বাসের অল্পতা বা সন্দেহ সুচিত হইতেছে না, পরন্তু নাগমহাশয়ের অস্তদৃষ্টি ও বিবেচনাশক্তির মূল্য ও তঁাহার প্ৰতি স্বামিজীর অন্যান্যসাধারণ শ্ৰদ্ধার পরিচয পাওয়া যাইতেছে। এই নাগমহাশয্যের সম্বন্ধে তিনি বলিতেন ‘পৃথিবীর বহুস্থান ভ্ৰমণ করিলাম, কিন্তু নাগমহাশয়ের ন্যান্য মহাপুৰুষ কোথাও দেখিলাম না।” বাস্তবিক নাগমহাশয্যের ন্যায় ঈশ্বর নিষ্ঠা ও সম্পূর্ণভাবে ঈশ্ববের পাদপদ্মে আত্মনিবেদন জগতে অতি অল্পই দেখিতে পাওয়া যায়। সেই শুষ্ক, কর্কশ মূৰ্ত্তির অন্তরালে যে একখানি সবল হৃদয ভগবৎ-প্রেমের অমল দীপ্তিতে স্নিগ্ধমধুর ঔজ্জ্বল্য মণ্ডিত হইযা শ্ৰীগুৰুর চরণাশ্ৰয়ে বিরাজ করিতেছিল, সাধারণ লোকে হযত তাতার খবর রাখিত না, কিন্তু স্বামিজীী রাখিতেন। তাই তিনি সন্ন্যাসগৌরবের আলাভেদী শিখর হইতে অবতরণ করিযী। এই দীন গৃহস্থের নিকট আশীৰ্ব্বাদ যান্ধা করিয়াছিলেন! আর তঁহার গুরুভাইরাও দেখিলেন, স্বামিজীর ইচ্ছা ও ঠাকুরের ইচ্ছার মধ্যে কোন প্ৰভেদ নাই। এই সময়ে একদিন সুপ্ৰসিদ্ধ শ্ৰীমতী সরলা দেবী স্বামিজী সুন্দর রন্ধন করিতে পারেন শুনিয়া সিষ্টাব নিবেদিতার নিকট তাহার উল্লেখ করেন। স্বামিজী জানিতে পারিয়া একদিন দু’জনকেই আহারের নিমন্ত্ৰণ করিলেন এবং স্বহস্তে কয়েকটি