পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবার সমুদ্রযাত্ৰা । সন্ন্যাসীকে ভালবাসিতে সুইবে মৃত্যু। আহার দ্বারা শরীয় পুষ্টি করিয়া কি লাভ, যদি উহাকে অপরের কল্যাণের জন্য উৎসর্গ করিতে না পাবি ? সেইৰূপ অধ্যযনাদি দ্বারা মনের পুষ্টি করিয়াই বা কি লাভ, যদি তাহা অপরের কল্যাণে নিযোজিত করিতে না পাবি ? সমগ্র জগৎ এক অখণ্ড সত্তাস্বরূপ, তুমি আমি তার এক নগণ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ মাত্রসুতবাং এই ক্ষুদ্র আমিত্বটাকে না বাড়াইযা তোমার কোটী কোটি ভাযেব সেবা করাই তোমাব পক্ষে স্বাভাবিক কাৰ্য্য --না করাই অস্বাভাবিক। উপনিষদের সেই মহতী বাণী কি স্মরণ নাই ! সৰ্ব্বতঃ পাণিপাদং তৎ সৰ্ব্বতোংক্ষিশিরোমুখং । সব্বতঃ শ্রুতিমল্লোকে সৰ্বমাবৃত্য তিষ্ঠতি | মরিতেই যখন হইবে-মরণ অপেক্ষ ধ্রুবসত্য যখন আর কিছুই নাই-তখন কোন মহৎ উদ্দেশ্যের জন্য দেহপাত করাই কি শ্রেয় নহে? মৃত্যুতেই স্বৰ্গ-মৃত্যুতেই সকল কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত আর বিপরীত বৃস্তুতে সমুদয় অকল্যাণ ও আসুরিক ভাব নিহিত ।” তারপর বলিলেন “এই আদর্শ টিকে কাৰ্য্যে পরিণত করিবার উপায় কি জানিতে হইবে, খুব একটা বড় বা অসম্ভব রকমের আদর্শে কোন কাজ হয় না। বৌদ্ধ ও জৈন সংস্কারকগণের ঐ বিপদ হইয়াছিল। আবার খুব বেশী practical (অতি মাত্রায় কাজের লোক) হওয়াও ভাল নয়। দুটী প্ৰান্ত (extremes ) এক করিতে হইবে। দুটী “অত্যন্ত’কে ছাড়িতে হইবে। প্ৰবল ভাবপরায়ণতার ( Idealism ) সঙ্গে প্ৰবল Gorje