পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । প্রাসাদে গমন করিয়াছিলেন। মহারাজা তাহার ‘রাজযোগ” গ্ৰন্থপাঠে অতিশয় কৌতুহলাক্রান্ত হইয়া একান্তে ঐ বিষয সম্বন্ধে স্বামিজীকে আরও অনেক কথা জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন। চিকিৎসক ও বন্ধুদিগের পুনঃ পুনঃ অনুরোধে স্বামিজী পুনরায় পাশ্চাত্য ভূখণ্ডে গমন করিতে সম্মত হইয়াছিলেন। সকলেই ভাবিয়াছিলেন সমুদ্রযাত্ৰাব্য র্তাহার নষ্টস্বাস্থ্য ফিরিয়া আসিবে। স্থির হইল স্বামি তুবীযানন্দ তাহার সঙ্গে যাইবেন। সিষ্টার নিবেদিতাও তেঁাহার বালিকা বিদ্যালয় সংক্রান্ত কাৰ্য্যানুরোধে ইংলেণ্ডে গমন করিবেন ঠিক করিয়াছিলেন। এক্ষণে তিনিও স্বামিজীর সহিত একত্রে যাত্রা করিবেন। এইৰূপ সিদ্ধান্ত হইল। বাস্তবিক স্বামিজীর বর্তমান অবস্থায় তাহাকে একাকী বিদেশে যাইতে দিতে কাহারও সাহসী হইতেছিল না। যাত্রার এক মাস পূৰ্ব্ব হইতে দর্শক ও ভক্তবৃন্দে মঠ দিবারাত্র পরিপূর্ণ থাকিত। স্বামিজী শেষ মুহূৰ্ত্ত পৰ্যন্ত তঁহিদের সহিত ধৰ্ম্মচৰ্চা, স্বদেশ ও স্বজাতির উন্নতি ও আরও ঘহু বিষয়ের আলোচনা করিতেন। মাঝে মাঝে ভাবোম্বেলিত কণ্ঠে গান গাহিতেন। যাত্রার পূর্বদিন ফটোগ্রাফ তোলা হইল, এবং রাত্ৰে মঠে একটি ক্ষুদ্র বৈঠক বসিলা। মঠের যুবক ব্ৰহ্মচারীরা স্বামিজীকে ও স্বামী তুরীয়ানন্দকে বিদায়কালীন অভিনন্দন প্ৰদান করিলেন। তঁহারাও অল্প কথায় উত্তর দিলেন। স্বামিজী সন্ন্যাসের আদর্শ ও ত্যাগ অভ্যাস সম্বন্ধে বলিলেন । সেই কথা-‘সন্ন্যাসী মৃত্যুকে ভয় করিবে না। পরের জন্য নিজ জীবন তুচ্ছ করিবে। সংসারী লোক ভালবাসে বঁাচিতে, SRły