পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবার সমুদ্রযাত্ৰা । গণের স্থান নাই, যদি কেহ অবাধ্য হয়, তাহাকে মমতারহিত হইয়া দূর করিয়া দাও-বিশ্বাসঘাতক যেন কেহ না থাকে। বায়ুর ন্যায় মুক্ত ও অবাধগতি হও, অথচ এই লতা ও কুকুরের হ্যায় নাম ও আজ্ঞাবহ হও ।” যাইবার দিন (২০শে জুন ১৮৯৯) শ্ৰীশ্ৰীমাঠাকুরাণী কলিকাতার বাটীতে স্বামিজী, তুরীয়ানন্দ ও মঠের অন্যান্য সন্ন্যাসী সন্তানদের প্রাণ ভবিষ ভোজন করাইলেন । অপরাহে তাহার আশীব্বাদ মস্তকে ধারণ করিষা দুই গুরু দাতা প্রিন্সেপ ঘাটের দিকে চলিলেন। সেখানে তঁহাদিগকে ও নিবেদিতাকে বিদায় দিবার জন্য অনেক বন্ধুবান্ধবের সমাগম হইয়াছিল। সকলেরই মুখে একটা বিষাদেব রেখা। স্বামিজী বাহিরে বেশ প্ৰফুল্প ছিলেন ও সকলকেই উৎসাহ দিতেছিলেন। তবে যখন বিদায়ের সময় উপস্থিত হইল, তপন প্ৰত্যেকেরই প্ৰাণের বেদনা মুখাবয়বে স্পষ্ট ফুটিয়া উঠিল। তিনি যে তাহদের বড় আদরের ‘স্বামিজী” —আর তুরীষানন্দ ?--সেই সরল, সদা প্ৰফুল্প, হস্ত বিকশিত নয়ন, একনিষ্ঠ বল-ব্ৰহ্মচারী-স্বামিজীী র্যাহাঙ্কে’, বলিয়াছেন "জলন্নিব ব্ৰহ্মময়েন তেজসা”-তিনিও তাহদের কম। স্নেহ ভালবাসার পাত্ৰ নহেন । এই আজন্মসংযমী, কঠোরতপস্বী ও শুদ্ধাচারী মুহাত্মা প্ৰথমে ম্লেচ্ছদেশে গমন করিতে সম্মত ছিলেন না, কিন্তু স্বামিজীর সকাতর অনুরোধ ও স্নেহের আফদারে তঁহাকে পরিশেষে এ সঙ্কল্প ত্যাগ করিতে হইয়াছিল। তিনি গঙ্গাজল সঙ্গে লইয়া জাহাজে উঠিয়াছিলেন। আর প্রচার কাৰ্য্যের সুবিধা হইবে বলিয়া ইচ্ছা ছিল, বেদান্তদর্শন ও } SR qo