পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । অন্যান্য কয়েকখানি প্ৰধান প্ৰধান শাস্ত্ৰগ্ৰন্থ সঙ্গে লইবেন। কিন্তু স্বামিজী নিষেধ করিয়া কহিলেন, বিদ্যের চচ্চড়ি আর পাজিপুথি তারা যথেষ্ট দেখেছে। ক্ষাত্ৰ-শক্তির পরিচয় খুব ক’রে পেয়েছে, এখন দেখাতে চাই ‘ব্রাহ্মণ’ অর্থাৎ সনাতন ধৰ্ম্মের শ্ৰেষ্ঠতা প্ৰতিপাদনের জন্য যুক্তিতর্কের বাহুল্য ও পরপক্ষনির্ণয়ের অসাধারণ শক্তি তাহারা স্বামিজীর মধ্যে প্ৰত্যক্ষ করিয়াছে কিন্তু শমদমতিতিক্ষাদি ব্ৰাহ্মণোচিত গুণভূষিত প্ৰকৃত সত্ত্বসংস্কার ও তপঃশুদ্ধ ব্ৰাহ্মণ তাতারা কখনও দেখে নাই । এখন এই আদর্শ ব্ৰহ্মণ্য দেখাইবার জন্য তিনি তঁাহাব পরম ক্ষেতাম্পদ ‘তু-ভায়া’কে সঙ্গে লইলেন। যে জাহাজে তাকার যাত্ৰা করিলেন উহার নাম “গোলকুণ্ড’। ২৪শে জুন উহা মন্দ্ৰিাজে পৌঁছিল। শীতিপূৰ্ব্বেষ্ট তারযোগে স্বামিজীর গমনবাৰ্ত্তা সেখানে পৌঁছিযাছিল। বহুসংখ্যক র্যক্তি র্তাহাকে দর্শন করিবাব জন্য সমুদ্রতীবে আগমন করিয়াছিল, কিন্তু কলিকাতার ন্যায়। এখানেও প্লেগের ভয়ে “ভারতীয় যাত্রীদিগকে তীরে নামিতে দেওয়া নিষিদ্ধ হইয়াছিল, সুতরাং সকলেবই আশা বিফল কষ্টল। কয়েকদিন পুৰ্ব্বে মান্দ্ৰাজবাসীরা মাননীয় পি, আনন্দ চালুর সভাপতিত্বে একটি সভা আহবান করিয়া স্থির করেন যে স্বামিজীকে, মান্দ্ৰাজে নামিবার হুকুম দিবার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করিবেন। অনুরোধ করাও হইয়াছিল। কিন্তু তাহাতে কোন ফল হয় নাই। আলাসিঙ্গা পেরুমাল প্রমুখ স্বামিজীর পূর্বতন যুবক শিষ্যেরা নৌকায় করিয়া জাহাজের নিকট উপস্থিত হইলেন এবং ফলাফুল SN9R