পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । শুষ্ঠােমাল-শস্যসম্পৎশালিনী এবং মধ্যাহ্নের উত্তাপে সকল প্ৰাণী ও পদার্থই স্থির, নিস্তব্ধ ও শান্ত। এ অবস্থায় আমিও অবশ জড়ের মত নদীর আরামপ্ৰদ তরঙ্গে গা ভাসিয়ে চলেছি। এতটুকু হাৰ্থ পা নেড়ে এ প্রবাহের চাঞ্চল্য উৎপাদন করতে আমার সাহস হচ্ছে না-পাছে প্ৰাণের এ অদ্ভুত নিস্তব্ধতা ও শান্তি নষ্ট হ’য়ে যায়-যে নিস্তব্ধতায় স্পষ্ট বুঝিয়ে দেয় জগৎটা মরীচিকা বই আর কিছু নয়। এতদিন আমার কৰ্ম্মের মধ্যে একটা উচ্চাভিলাষ ছিল, আমার ভালবাসার মধ্যে পাত্ৰবিচাব ছিল, আমার পবিত্ৰতার পশ্চাতে ভয় ছিল এবং আমার নেতৃত্বের ভিতর ক্ষমতা প্ৰিযতা বিদ্যমান ছিল। কিন্তু এখন সে সব অন্তহিত হচ্ছে, আর আমি উদাসপ্ৰাণে ভেসে চলেছি। যাই মা যাই । তোমার কোলে উঠে-তুমি যে দিকে নিয়ে যেতে চাও সেই দিকে-সেই অরূপ অস্পৰ্শ অশব্দ অজ্ঞাত অদ্ভুত রাজ্যে-অভিনেতার ভাব সম্পূর্ণ বিসর্জন দিয়ে, কেবলমাত্র দ্রষ্টা বা সাক্ষীর মত ডুবে যেতে আর আমায় দ্বিধা নেই। ওঃ কি শান্তি ! বোধ হচ্ছে যেন আমার চিন্তারাশি হৃদয়ের দূরতম প্রদেশ থেকে অতি ক্ষীণ অস্ফুটধ্বনির মত আসছেচারিদিকে শান্তি-মধুর মধুর শান্তি-নিদ্ৰাকর্ষণের অব্যবহিত পূর্বে সকল বস্তু যখন ছায়ার ন্যায় প্রতীয়মান হয় তখনকার মত শঙ্কাহীন-অনুরাগহীন-আবেগহীন-শাস্তি! যাই প্ৰভু যাই। জগৎ আছে বটে, কিন্তু তাহা সুন্দরও নহে কুৎসিতও নহে -শুধু একটা অনুভূতি মাত্র। কিন্তু সে অনুভূতিতে কোন SGR