পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ। কল্পনা করিয়া গ্ৰীক ধাতুপ্ৰত্যয়ের সাহায্য টানিয়া আনার বিড়ম্বনা কেন ? “মেচ্ছা বৈ যবনাঃ তেষু এষ বিদ্যা প্ৰতিষ্ঠিতা । ঋষিবৎ তেহপি পুজ্যন্তে । এই একটিমাত্র শ্লেক অবলম্বন করিয়াই পাশ্চাত্যকল্পনা আত্মগৰ্ব্বে এতদূর স্ফীত হইয়া উঠিয়াছে যে একজন মহাপ্ৰভু নাকি এমনও বলিয়াছেন যে ভারতে বিজ্ঞানাদির যাহা কিছু আছে সবই গ্রীসের প্রতিধ্বনি । কিন্তু একটু স্থির হইয়া চিন্তা করিলে এ কথাও মনে উদয় হইতে পারে যে হযত যবনশিষ্যদিগকে ভারতীয বিজ্ঞানচর্চায় উৎসাহদান ও তীহাদের সম্মান বৃদ্ধির জন্যই আৰ্য্যগণ একাপ শ্লোক লিখিয়াছেন। আবার এক “ব্যবনিকা” শব্দের উল্লেখ দেখিয়া ভারতীয় নাটক গ্ৰীক নাটকের ছায়াবলম্বনে রচিত হইয়াছে। এ কথা মহারা বলেন, তঁাহারা আরও পণ্ডিত ! কারণ উভয় প্রকার নাটকের রচনা রিতি, নাটকীয় ভােব বা অভিনয় প্ৰণালীর মধ্যে কোনরূপ সাদৃশ্যই নাই। সুতরাং যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত না প্ৰমাণ হইতেছে যে কোনও হিন্দু কোনও কালে গ্রীকভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন। ততক্ষণ ভারতীয় বিজ্ঞানের উপর গ্রীক প্রভাবের কথা মুখেও আনা উচিত নিহে"। পরে তিনি পাশ্চাত্যপণ্ডিতদিগকে একটি গ্ৰীকপুস্তকের জন্য র্তাহারা যে প্রকায় পরিশ্রম করেন একখানা সংস্কৃত পুথির জন্য সেইরূপ পরিশ্রম করিবার উপদেশ দিয়া বক্তৃতা শেষ করিলেন । কারণ ঐ উপায় ব্যতীত প্ৰাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে কোন কোন সময়ে ভাববিনিময় হইয়াছিল ఫి