পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । পৰ্য্যবেক্ষণ ও তৎসম্বন্ধে চিন্তা করিতেন । এ সম্বন্ধে “প্ৰাচ্য ও পাশ্চাত্য” গ্রন্থে তাহার অমর লেখনীমুখে অতি বিচিত্ৰ চিত্র ফুটিয়া উঠিযাছে। পাঠক তাহার কিঞ্চিৎ পরিচয় লউন “এ ইউরোপ বুঝতে গেলে, পাশ্চাত্য ধৰ্ম্মের আকর ফ্রান্স থেকে বুঝতে হবে। পৃথিবীর আধিপত্য ইউরোপে, ইউরোপের মহাকেন্দ্ৰ পায়ী। পাশ্চাত্য সভ্যতা, রীতি নীতি, আলোক আঁধার, ভালমন্দ, সকলের শেষ পবিপুষ্ট ভাব এটখানে, এই পারি নগরীতে । এ পারি এক মহাসমুদ্রে-মণি, মুক্তা, প্রবাল যথেষ্ট, আবাব মকর কুম্ভীরও অনেক । * * * এই পারি নগরী সে ইউরোপী সভ্যতা-গঙ্গার গোমুখী। এ বিরাট রাজধানী মৰ্ত্ত্যের অমরাবতী, সদানন্দ নগৰী।। এ ভোগ, এ বিলাস, এ আনন্দ, না লণ্ডনে, না বালিনে, না। আর কোথায । লণ্ডনে, নিউইয়র্কে ধন আছে ; বার্লিনে বিদ্যাবৃদ্ধি যথেষ্ট ; নেষ্ট সে ফরাসী মাটি, আর সর্বাপেক্ষা নেই সে ফরাসী মানুষ। ধন থাক, বিদ্যাবুদ্ধি থাক, প্ৰাকৃতিক সৌন্দৰ্য্যও থাকৃ-মানুষ কোথায় ? এ অদ্ভূত ফবাসীচরিত্র প্রাচীন গ্ৰীক ম’রে জন্মেছে যেন-সাদা আনন্দ, সদা উৎসাহ, অতি ছেবলা, আবার অতি গম্ভীর, সকল কাৰ্যো উত্তেজনা, আবার বাধা পেলেই নিৰুৎসাহ । কিন্তু সে নৈরাশ্য ফরাসী মুখে বেশীক্ষণ থাকে না, আবার জেগে উঠে। এই পারি বিশ্ববিদ্যালয় ইযুরোপের আদর্শ। দুনিয়ার বিজ্ঞান-সভা এদের একাডেমীর নকল ; এই পারি ঔপনিবেশ §28