পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারী প্ৰদৰ্শনী ও ইউরোপা পৰ্যটন । অতিথি হইলেন। এখানে কয়দিন বেশ বিশ্রামে কাটিল । , সিষ্টার নিবেদিতাও ঐ সময়ে আমেরিকা হইতে এস্থানে আসিয়া অবস্থান করিতেছিলেন। স্বামিজী তঁহাদিগকে প্রায়ই বুদ্ধদেবেব জীবন কাহিনী শুনাইতেন এবং ‘জাতক’, ‘ললিত বিস্তর’, ‘বিনয় পিটক’ এবং আরও অনেক প্ৰসিদ্ধ বৌদ্ধ পুস্তক হইতে নানা স্থান আবৃত্তি কবিতেন। নিৰ্বাণলাভের পর বুদ্ধদেব কেমন মূৰ্লিমান অধ্যাত্ম-সঙ্গীতেব চরমোৎকৰ্ষৰূপে পরিণত হঈষাছিলেন তাহ প্ৰদৰ্শনেৰ জন্য উপানীপৃচ্ছ’, ‘ধনিসাসুক্তি’ ও প্ৰসিদ্ধ “স্বত্ত নিপাত” প্ৰভৃতি বৌদ্ধধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ হইতে নানা বচন উদ্ধত করিতেন। বৌদ্ধ ও হিন্দুধৰ্ম্মের প্রভেদ প্ৰদৰ্শনকালে বলিতেন, বৌদ্ধমতে “এ সবই মাযার ভ্রম’, হিন্দুমতে “এই মায়ার ভিতরেই সত্য নিহিত আছে’ ; কেমন করে এ সত্য লাভ হবে সে সম্বন্ধে হিন্দুরা বৌদ্ধদের মতন কোন একটা নিদিষ্ট নিয়ম বাতলে দেন। নি। বৌদ্ধদের পথ শুধু সন্ন্যাসের ভেতর দিয়ে, কিন্তু হিন্দুর পথ অনেক দিক দিয়ে অর্থাৎ যে কোন অবস্থার ভেতর দিয়ে জ্ঞানলাভ হ’তে পারে, সব পথই পরিণামে এক সত্যে নিয়ে যাবে। সুতরাং কালে বৌদ্ধধৰ্ম্মটা খালি সন্ন্যাসীর ধৰ্ম্ম হয়ে উঠল। হিন্দুধৰ্ম্মটি সাধারণভাবে দৈনন্দিন কৰ্ত্তব্য সম্পাদনের ভেতরেও রইল। হিন্দুধৰ্ম্ম সব ভাবকে নিজের অঙ্গীভূত ক’রে নিয়েছে। উনি হলেন সকল ধৰ্ম্মের আদি জননী। “তাই ভগবান, বুদ্ধকে অবতারের সামিল করে নিলেন। o বুদ্ধদেবের প্রতি স্বামিজীর প্রগাঢ় শ্রদ্ধার বিষয়ে পুনঃ পুনঃ ویه