পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়াবতী দর্শন। দিয়াছেন তাহা কে বলিবে? ভারতের দুঃখ দৈন্যে সেই মহাপ্ৰাণে কত যে দুঃখের তরঙ্গ বহিয়াছে, কে তাহার ইয়াত্ত করিবে ? হায়! রোগযন্ত্রণায় নিপীড়িত হইয়াও তিনি নিশ্চেষ্ট রহিতে পারিলেন না। পূৰ্ববৎ মঠের সকল ব্ৰহ্মচারী, সন্ন্যাসী, গুৰু ভ্ৰাতা ও শিষ্যকে নিজ আদর্শে সযত্নে গঠিত করিতে লাগিলেন, এবং তদ্ব্যতীত আরও শত শত উপদেশপ্ৰাৰ্থীকে পাত্ৰবিচারে শিক্ষা দিতেন । ইউরোপ আমেরিকার কার্য্যপরিচালকগণকে ও অন্যান্য দূৱস্থ কেন্দ্ৰাধ্যক্ষগণকেও প্রত্যহ বহুসংখ্যক পত্র লিখিযা উপদেশ দিতে হষ্টত । তাহার উপর “উদ্বোধন’, ‘ব্ৰহ্মবাদিনী’ ও ‘প্ৰবুদ্ধ ভারত’ ইত্যাদি পত্রিকার সম্পাদকগণও র্তাহার নিকট পরামর্শ চাহিতেন। এইরূপে তিনি যেখানে যে অন্ধুর রোপন করিয়াছিলেন সেই সেই স্থানের নবজাত পাদপশিশু এক্ষণে তাহার মুখপ্ৰেক্ষী হইয়া প্ৰাণধারণ করিতেছিল । কিন্তু এই কৰ্ম্মজলে প্ৰবেশ করিবার পূর্বে তিনি সৰ্ব্বপ্ৰথমে শোকসন্তপ্ত সেভিয়ার-গৃহিণীর সহিত সাক্ষাতের প্রয়োজন অনুভব করিলেন । ৯ই ডিসেম্বর মঠে আসিয়াই প্রিয় শিষ্য সেভিয়ারের মৃত্যুসংবাদ (২৮১০৷৷১৯০০) পাওয়াতে তাহার পূব্বের সন্দেহ নিশ্চয়ে পরিণত হইয়াছিল। তিনি তৎক্ষণাৎ মিসেস সেভিয়ারকে টেলিগ্ৰাম করিয়া মায়াবতী যাইবার অভিপ্রায় জ্ঞাপন করিলেন ও যাত্রার দিন পরে জানান হইবে লিপিলেন। উত্তরে তিনি জানাইলেন যে সমুদয় বন্দোবস্ত ঠিক করিবার জন্য অন্ততঃ আট দিন পূৰ্ব্বে যেন সংবাদ দেওয়া 窓br"。