পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । এক সময়ে অমনি ক’রে দিন কেটেছে-একমাত্র ভগবানের উপর নির্ভর সম্বল নিয়ে ভিক্ষে মেগে দেশে দেশে ঘুরে বেড়িয়েছি- সে সব সুখের দিনই গেছে ! * যদি সৰ্বস্ব দিয়েও আবার সেই সব দিন ফিরে পাওয়া যেতে তাতেও রাজী আছি।” যাহা হউক। পরে বিরজানন্দ স্বামিজীর প্রস্তাবে সম্মত হষ্টয়াছিলেন। হিমালয়ক্ৰোড়ে এই জনকোলাহলশূন্য শান্তরসাম্পদ আশ্রমভবনে স্বামিজী বড় প্রতি অনুভব করিলেন। মিসেস সেভিয়ারের সহিত তিনি যখন আলাপ করিতেন তখন মনে হইত যেন একটি শিশু তাহাব জননীর সহিত কথা কহিতেছে। কখনও কখনও তিনি চঞ্চল হইয়া পড়িতেন বটে এবং হযত আশ্রমের সন্ন্যাসীদেব দুই চারিটিা কড়া কথাও শুনাইয দিতেন, কিন্তু তঁহার বাক্যে গরল ছিল না। র্তাহার তিরস্কারের ভিতরও প্রায়ই কোন শিক্ষার বিষয বা প্রচ্ছন্ন আশীব্বাদ নিহিত থাকিত । মায়াবতী হইতে যে সকল সুন্দর সুন্দর দৃশ্য নয়নগোচর হয় তন্মধ্যে ধাবমঘর নামক স্থানের তুষার-দৃশ্য অতি মনোহর। ঐ স্থানটী পাশ্ববৰ্ত্তী সকল স্থান অপেক্ষী উচ্চতৰ। দুই চারিদিন পরেই একদিন প্ৰাতঃকালে আশ্রমের সকলকে সঙ্গে লইষা স্বামিজী কী স্থানে গমন করিলেন এবং তাহার অবস্থান ও মনোমুগ্ধকর সৌন্দৰ্য্য দর্শনে নিরতিশয় গ্ৰীতিলাভ করিলেন। তাহার ইচ্ছা হইয়াছিল ঐ স্থানে একটি আশ্রম স্থাপন করিয়া নির্জনে আরামে ধ্যান ভজন করেন। হ্রদপার্শ্বস্থ রাস্তাটি o c is