পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । তবে অবশ্য বাহিরের আচায় ভিতরে ধৰ্ম্মের অনুভূতির জন্য প্রথম প্ৰথম চাই । ধৰ্ম্মভাবের সম্বন্ধে বলিলেন, “ওদেশের অধিবাসীরা ধৰ্ম্মসম্বন্ধেও ঐরূপ Conservative ( প্ৰাচীন প্ৰথাবি অনুগামী) সঙ্কীর্ণভাব---উদারতা নেই, কেউ কেউ আবার famatic (ধৰ্ম্মোন্মাদ) হয়ে পড়েছে। ঢাকাষ মোহিনী বাবুর বাড়ীতে একদিন একটি ছেলে কার একখানা ফটোগ্রাফ দেখিয়া আমায বল্পে "মশাই বলুন ত ইনি অবতাব কিনা ? আমি তাকে অনেক বুঝিয়ে বলুম ‘তা বাবা, আমি কি জানি।” তিনচারবাব বল্পেও সে ছেলেটি শোনেনা, ফেব। ঐ কথা জিজ্ঞাসা করে। শেষে তার জেদ দেখে আমায বাধ্য হ’য়ে বলতে হ’ল-“বাবা এখন থেকে একটু ভাল ক’রে খেযে দোষো । তা হ’লে মাথাটা খুলবে। পুষ্টিকর খাদ্ষ্মেব অভাবে তোমার মাথার ঘালু একেবারে শুকিযে গেছে।” একথা শুনে বোধ করি ছেলেটােব রাগ হইয়াছিল। তা কি কৰূবে বাবা, ছেলেদেব ওরকম একটু আধটু না বল্পে তারা যে ক্রমশঃ ক্ষেপে যাবে।” বাস্তবিক পূৰ্ব্ববঙ্গে অবতারের আবির্ভাবটা কিছু বেশী-ঘরে ঘরেই অবতার। স্বামিজী ওরূপ পাগলামীব প্রশ্ৰয় দেওয়া উচিত। মনে করিতেন না । বলিতেন “গুরুকে শিষ্যেরা অবতার বলতে পারে বা যা ইচ্ছে ধারণা কৰ্ত্তে পারে। কিন্তু তাই ব’লে দেশশুদ্ধ লোক অবতার হবে এ কিরকম ? ভগবানের অবতার যেখুনে সেখানে বা যখন তখন হয়না। এক ঢাকাতেই শুনুলুম তিন চারটীি অবতার বেরিয়েছেন।” কামাখ্যায়। তন্ত্রমতের প্রাধান্য উল্লেখ কয়িয়া বলিলেন “এক B