পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গে ও আসামে। কিন্তু শিলং-এর স্বাস্থ্যকর জলবায়ুতেও স্বামিজীর পীড়ার হ্রাস হইল না, এবং পূর্বাপেক্ষ অবস্থা আরও শোচনীয় হইল। ঢাকা হইতেই বহুমূত্রের সহিত ছাপানীর প্রকোপ বৃদ্ধি পাইয়াছিল। এখানে আসিয়া তাহ আরও ভীষণভােব ধারণ করিল। শ্বাসগ্রহণের সময় অসহ্যু কষ্ট হইত। কতকগুলি বালিশ একত্র করিয়া বুকের উপর ঠাসিয়া ধরিতেন এবং সন্মুখের দিকে ঝুকিয়৷ প্ৰায় একঘণ্টা পৰ্যন্ত মরণাধিক যন্ত্রণা ভোগ করিতেন । কিন্তু বৈদ্যুনাথের ন্যায়। এখানেও এই যন্ত্রণার সময়ে তিনি ভগবানে চিত্ত সমাধান করিতেন। একদিন এরূপ অবস্থায় শিষ্যগণ শুনিলেন তিনি অনুচ্চস্বয়ে যেন আপনাকেই লক্ষ্য করিয়া বলিতেছেন ‘যাক, মৃত্যুই যা হয় তাতেই বা কি আসে যায় ? যা দিয়ে গেলুম দেড়হাজা বছরের খোরাক” অৰ্থাৎ তঁাহার দেহত্যাগ হইলেও তিনি ( চিন্তা রাশি রাখিয়া গেলেন তাহা সম্পূৰ্ণ জীৰ্ণ করিতে পৃথিবী বহুবর্ষ কাটিয়া যাইবে । মে-মাসের মধ্যভাগে স্বামিজী বেলুড় মঠে প্ৰত্যাগ করিলেন। পূৰ্ববঙ্গ ও আসামের গল্প প্রায়ই হইত। ওদেঙ্গে লোক আচার ব্যবহার সম্বন্ধে একটু বেশী সাবধান । কথার উল্লেখ করিয়া একদিন বলিলেন- “ওদেশে আর খাওয়া নিয়ে বড় গোল কস্তৃত। বলত-এটা কেন খাবে ওর হাতে কেন খাবেন ? ইত্যাদি। তাই বলতে হ’ত আf সন্ন্যাসী ফকির লোক-আমার আবার আচার বিচার দি শাস্ত্ৰেই না বলছে-“চারেন্মাধুকরীং বৃত্তিমপি স্লেচ্ছকুলান্দপি o RS