বেলুড় মঠে । পূৰ্ববঙ্গ ও আসাম হইতে প্ৰত্যাবৃত্ত হওয়ার পর স্বামিজীর শারীরিক অবস্থা অতিশয় মন্দ হইল। মঠের সন্ন্যাসিগণ অত্যন্ত চিন্তিত হইষা পড়িলেন এবং স্বামিজীকে সর্বপ্রকার চিন্তা ও কাৰ্য্য হইতে বিরত বাখিবার জন্য প্ৰাণপণ চেষ্টা করিতে লাগিলেন। গুৰুভাই ও শিষ্যদিগের্ব উপরোধ অগ্ৰাহ করিতে অসমর্থ হইযা স্বামিজী একাদিক্ৰমে সাতমাস মঠে যথাসম্ভব। নিস্ক্রিযভাবে অবস্থান করিলেন। তঁহার চিকিৎসা ও সেবার জন্য সকলেই সাধ্যমত চেষ্টা করিতে লাগিলেন। সর্বদাই লক্ষ্য রাখা হইত যেন তিনি কোন গুরুতর বিষয়ে মনোনিবেশ না করেন। কিন্তু এই কাৰ্য্যটি সৰ্ব্বাপেক্ষা দুরূহ ছিল কারণ প্রায় দেখা যাইত তাহার চিত্ত বাহবিষয়ে নিবিষ্ট হইতে না পারিয়া অভ্যাস বশতঃ আপনা। আপনি গভীর একাগ্রতা অভিমুখে ধাবিত হইত। অনেক সমযে শিষ্যেরা তঁহার আদেশমত তামাক সাজিয়া বা খাবার জল লইয়া তাহার জন্য অপেক্ষা করিতেন। কিন্তু তিনি আদিষ্ট দ্রব্যের প্রয়োজন বিশ্বত হইয়া সম্পূর্ণ অন্তলীন অবস্থায় থাকিতেন। এমন কি ‘স্বামিজী এই নিন। আপনি যাহা চাহিয়াছিলেন তাহা আনিয়াছি।’ বলিষ্যা ডাকিলেও সাড়া পাওযা যাইতনা। কিন্তু এৰূপ অন্যমনস্কতা সত্ত্বেও শেষ পৰ্য্যন্ত শিক্ষাদান ব্যাপারে তঁাহার কখনও সম্পূৰ্ণ ঔদাসীন্য লক্ষিত হয নাক্ট। মাঝে মাঝে নিজে একটু আধটু গান গাহিতেন, কখনও বা শিষ্যদিগকেও গাহিতে শিক্ষা দিতেন বা তাহার se RV)
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪১৮
অবয়ব