পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেলুড় মঠে ! বাল্যাবধি তিনি জীবজন্তু ভালবাসিতেন। এই কালেও তিনি মঠ কতকগুলি গাভী, হ্ৰাস, কুকুর, ছাগল, সারস ও হরিণ পুষিয়াছিলেন। একটা মাদী ছাগলকে ‘হংসী” বলিয়া ডাকিতেন ও তারই দুধে প্ৰাতে চা থাইতেন। ছোট একটি ছাগলছানাকে “মন্টুরু’ বলিয়া ডাকিতেন ও আদর করিয়া তাহার গলায় ঘুঙ্গুর পরাইয়া দিয়াছিলেন। এই আদরের মন্টুরু দিনরাত র্তাহার পায়ে পায়ে বেড়াইত এবং করিয়া খেলা করিতেন । যে সকল নবাগত ব্যক্তি তাহাকে দর্শন করিবার জন্য গভীর শ্রদ্ধাভরে মঠে আসিতেন তাহারা তাহার পরিচয় পাইয়া ও এইরূপ কাৰ্য্যে তঁহাকে নিযুক্ত দেখিয়া অবাক হইয়া বলিতেন ‘ইনিই বিশ্ববিজয়ী স্বামী বিবেকানন্দ ” কিছুদিন পরে ‘মাটরু” মরিয়া যাওয়ায় স্বামিজী বিষপ্লচিত্তে বলিয়াছিলেন “কি আশ্চৰ্য্য! আমি যেটাকেই একটু আদর করতে যাই, সেইটাই যায় মরে।” তিনি নিজে প্রত্যহ এই সকল জন্তুর আত্মাহারাদি এবং তাহাদের ফলস্থানগুলি পরিস্কৃত্তি হইয়াছে কিনা তাহা দেখিতেন ( স্বামী সদানন্দ এই বিষয় তাহার প্রধান সহকারী ছিলেন)। তাহারাও তঁহাকে বড় ভাল বাসিত এবং তিনি তাহদের সহিত এমন নিবিষ্টচিত্তে আলাপ করিতেন যে মনে হইত বুঝি তাহারা জানোয়ার নহে, মানুষ। একবার তিনি ঠাট্টা করিয়া বলিয়াছিলেন “মটারু নিশ্চয়ই আর জন্মে। আমার কেউ হোতো।” কখনও কখনও তিনি হংসীর কাছে গিয়া দুধের জন্য সাধ্যসাধনা করিতেন, যেন দুধ দেওয়া না। У око 5