পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । দেওয়া তার ইচ্ছা । বাস্তবিক তিনি এই প্ৰাণীগুলিকে আন্তরিক ভালবাসিতেন। ১৯০১ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর আমেরিকার এক শিস্যকে যে পত্র লেখেন তাহাতেও উহাদের কথা ছিল। মঠের কুকুটির নাম ছিল ‘বাঘ’ ৷ এক হিসাবে বাঘাই ছিল এই সকল প্ৰাণীদের কর্তা । সে মনে করিত মঠে তাহার থাকার অধিকার আছে । একবার সে কোন অন্যান্য কাৰ্য্য করাতে তাহার প্রতি গঙ্গাব পরপাবে নির্বাসনদণ্ড ব্যবস্থা হয । ইহাতে সে বড়ই দুঃখিত হয। বিশেষতঃ স্বামিজীকে সে এত ভালবাসিত যে সন্ধ্যাব সময সে আব্ব থাকিতে না পারিষা একটিী খেযা নৌকার উপর চড়িযা বসিল । নৌকার মাঝি এবং আরোহিগণ তাহাকে তাড়াইবার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করিল। কিন্তু সে তাহাতে নিতান্ত অসম্মত হইয৷ কটমটে চক্ষে তাহাদিগের দিকে চাহিতে লাগিল ও থাকিযা থাকিযা গর্জন করিতে লাগিল। অবশেষে তাহারা নিকপায হইযা তাহাকে নৌকায় স্থানদান করিতে বাধ্য হইল। এপাবে উপস্থিত হইয়া সে রাত্রিটা এদিকে উদিকে লুকাইযা কাটাইল। ভোর চারিটার সময স্বামিজী স্নানাগারে প্রবেশ করিতে যাইতেছেন। এমন সময, দরজার নিকট কি একটা পাযে ঠেকিল। আশ্চৰ্য্য হইয়া দেখেন বাঘা ! বাঘা তার পা জড়াইয়া মিনতিপূর্ণ স্বরে যেন ক্ষমা ভিক্ষা ও পুনঃ প্ৰবেশাধিকার প্রার্থনা করিতে লাগিল। সে ঠিক বুঝিযা ছিল যে স্বামিজীর নিকট যাইলেই তাহার কাৰ্য্যসিদ্ধি হইবে। সেইজন্য আর কেহ উঠিবার পূৰ্ব্বে ঠিক যেস্থানে অপেক্ষা করিলে তঁহার দর্শন পাওয়া যাইবে সেই eee8