পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেলুড় মঠে । স্থানে অপেক্ষা করিতেছিল। স্বামিজী তাহার পিঠ চাপড়াইয়া আদর করিলেন ও আশ্বাস দিলেন । তারপর হইতে সকলকে বলিলেন বাঘা যাহাই করুক উহাকে আর তাড়ান হইবে না। বাঘার সম্বন্ধে আজ পৰ্যন্ত মঠে নানাবিধ অদ্ভূত গল্প প্ৰচলিত আছে। গ্রহণের সময় শাকঘণ্টা বাজিলে সে নাকি শত শত মুক্তিস্নানকামী নরনারীর সহিত একত্রে গঙ্গায় গিয়া ডুব দিত। স্বামিজীর দেহত্যাগের অনেক পরে বাঘার মৃত্যু হইলে তাহার মৃতদেহ গঙ্গায় ফেলিয়া দেওয়া হয়। জোয়ারের সময়ে সে দেহ ভাসিয়া চলিয়া গিয়াছিল। কিন্তু সন্ন্যাসীরা সাশ্চৰ্য্যে দেখিলেন। ভাটার টানে তাহ আবার মঠে ফিরিয়া আসিয়াছে। ইহাতে মঠের প্রতি বাঘার ভালবাসা স্মরণ করিয়া এবং বোধ হয়। মৃত্যুতেও সে মঠের সম্বন্ধ হইতে বিছিন্ন হইতে চাহিতেছেন। ভাবিয়া একজন ব্ৰহ্মচারী মঠের প্রধান প্ৰধান সন্ন্যাসীর অনুমতি লইয়া তাহার দেহকে মঠেই প্রোথিত করিলেন। মঠে অবস্থান কালে স্বামিজীকে সমাজের কোন ধার ধারিতে হইত না। সুতরাং তিনি যাদৃচ্ছিাক্রমে চলিয়া ফিরিয়া বেড়াইতেন-কখনও চটপায়ে, কখনও খালিপায়ে, কখনও একখানি গেরুয়া পরিয়া কখনও বা শুধু কৌপীন আঁটিয়া । অনেক সময়ে হাতে একটি হুক বা লাঠি থাকিস্ত। কোট, কামিজ, কোর্তা কলার এ সকলের কোন হাঙ্গামা ছিলনা, সন্ন্যাসী আপনার শান্ত নির্জন ধামে পূর্ণ স্বাধীনতায় বিরাজিত। • পূৰ্ববঙ্গ ও আসাম হইতে ফিরিবার পর তাহার পা ফুলিয়া শোথের লক্ষণ দেখা দিয়াছিল, হঁটিতে কষ্ট হইত। যাহারা Ꭹ ᏣᏔᎲᎸ0