পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । তত্ত্ব’, আনাইরা ৪৫ দিনে উহার আদ্যোপান্ত পাঠ করিয়া ফেলিলেন-দুর্গোৎসববিধি প্রকরণটি ভাল করিয়াই পড়িলেন। তখন ওসম্বন্ধে আর কাহাকেও কিছু বলিলেন না। শুধু শরৎ বাবুকে বলিলেন “যদি পাবি ত এবার মাের পূজা করবো। রঘুনন্দন বলেছেন—“নবম্যাং পূজয়েৎ দেবীং কৃত্বা রুধির কর্দমম’-মার ইচ্ছা হয় তা তাও করবো।” পূজাব ১০১২ দিন পূর্ব পৰ্যন্তও পূজা সম্বন্ধে মঠে কোন কথা আলোচনা হয নাই। ইতিমধ্যে স্বামিজীর জনৈক গুৰুভ্ৰাতা একদিন রাত্রে স্বপ্ন দেখিলেন মা দশভূজা গঙ্গার উপর দিযা দক্ষিণেশ্বরের দিক হইতে মঠের দিকে আসিতেছেন। পাবদিন প্ৰাতে হঠাৎ স্বামিজী মঠে পূজা কবিবার সঙ্কল্প সকলেব নিকট ব্যক্ত কবিলে তিনিও তঁাহাব স্বপ্নবৃত্তান্ত প্ৰকাশ করিলেন। সুতরাং স্থির হইয়া গেল। মঠে পূজা হইবে। ঐ দিনেই স্বামী প্ৰেমানন্দ ও ব্ৰহ্মচারী কৃষ্ণলাল বাগবাজারে শ্ৰীশ্ৰীমঠাকুরাণীকে এই বিষয। জানাইয় তাহার নামে পুজাব সঙ্কল্প কিরিবার অনুমতি প্ৰাৰ্থনাব জন্য চলিয়া গেলেন। এবং তাহার অনুমতি প্ৰাপ্তিমাত্ৰ কুমারটুলীতে প্ৰতিমার বায়না দিয়া মঠে প্ৰত্যাগত হইলেন। স্বামিজীর পূজা করিবার কথা সৰ্ব্বত্র প্রচারিত হইল এবং ঠাকুরের গৃহীভক্তগণ সানন্দে উহার সহিত যোগদান করিলেন। যে জমিতে এখন ঠাকুরের জন্মোৎসব হয় সেই জমির উত্তর দিকে পূজার মণ্ডপ নিৰ্ম্মিত হইল। ষষ্ঠীর বোধনের দুই এক দিবস পুৰ্ব্বে শ্ৰীমৎ কৃষ্ণলাল ব্ৰহ্মচারী প্ৰভৃতি মায়ের প্রতিমা লাইয়া মাঠে পৌঁছিলেন। তাহার পরই মুষলধারে বৃষ্টি। কিন্তু os o لم