পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেলুড় মঠে । নূতন ভাব প্রচায় হওয়ার কালে তাহার বিরুদ্ধে প্রাচীনপন্থাবলীদিগের অভু্যুত্থান প্ৰকৃতির নিয়ম। জগতের ধৰ্ম্মসংস্থাপকমাত্ৰকেই এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে হইয়াছে।” আবার কখনও বলিতেন "Persecution (অন্যায় অত্যাচার না। হইলে জগতের হিতকর ভাবগুলি সমাজের অন্তস্তলে সহজে প্ৰবেশ করিতে পারে না।” সুতরাং সমাজের তীব্ৰ কটাক্ষ ও সমালোচনাকে স্বামিজী তাহার নবভাব প্রচারের সহায় বলিয়া মনে করিতেন- কখনও উহার বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ করিতেন না।--তাহার পদাশ্রিত গৃহী ও সন্ন্যাসীগণকে প্ৰতিবাদ করিতে দিতেন না। সকলকে বলিতেন ‘ফলাভিসন্ধিহীন হ’য়ে কাজ করে যা, একদিন উহার ফল নিশ্চয়ই ফলবে।” স্বামিজীয় শ্ৰীমুখে একথাও সৰ্ব্বদাই শুনা যাইত ‘নাহি কল্যাণকৃৎ কশ্চিৎ দুৰ্গতিং তাত গচ্ছতি |* * সুখেব বিষয় স্বামিজীর জীবদ্দশাতেই সাধারণের এই ভ্ৰান্তি দূর হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে তঁহার প্রতি তাহাদিগের মনোভাব পরিবর্তন হইয়া যায়। মঠে দুৰ্গাপূজার , অনুষ্ঠান এই ভ্ৰান্তি নিরসনের পক্ষে বিশেষ সাহায্য করিয়াছিল । লোকে দেখিল সামাজিক বিষয়ে স্বামিজী ইষ্টানিষ্ট বিচার করিয়া স্বাধীনতা বা নূতন ভাব অবলম্বন করিতে বলেন বটে, কিন্তু ধৰ্ম্মবিষযে তিনি গোড়া হিন্দু, প্রাচীন পদ্ধতির এক চুল এদিক ওদিক হইলে রক্ষা রাখেন না। ৮দুর্গাপূজার কয়েক মাস পূর্বে তিনি শরৎবাবুকে দিয একখানা রঘুনন্দনের অষ্টবিংশতি

  • স্বামীশিষ্যসংবাদমউত্তব্যাকাণ্ড ।

à ox98