পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেহ আজিও বলেন সেদিন অগ্নিকুণ্ডের সম্মুখে হোমশিখাপ্ৰদীপ্তবদন স্বামিজীকে দেখিয়া মনে হইতেছিল যেন দ্বিতীয় ব্ৰহ্মা যজ্ঞস্থলে সমুপস্থিত। স্বামিজী মঠে প্ৰত্যাগমন করিয়া বলিলেন “কালীঘাটে এখনও কেমন উদার ভাব দেখলুম। আমাকে বিলাত-ফেরত বিবেকানন্দ বলে “জেনেও মন্দিরাধ্যক্ষগণ মন্দিরে প্রবেশ কক্তে কোন বাধা দেন নাই, বরং পরম সমাদরে মন্দির মধ্যে নিয়ে গিয়ে যথেচ্ছ পূজা কবৃতে সাহাষ্য করেছিলেন ।” এইরূপে জীবনের শেষভাগেও স্বামিজী বাহ প্ৰতিমাদি পূজা দ্বারা হিন্দু দেবদেবীর প্রতি বহু সম্মান ও আন্তরিক শ্রদ্ধা ভক্তি প্ৰদৰ্শন করিয়া গিয়াছেন। সুলেখক শরৎবাবু বলেন“যাহারা তঁহাকে কেবলমাত্র বেদাস্তবাদী ও ব্ৰহ্মজ্ঞানী বলিয়া নির্দেশ করেন, এই পূজানুষ্ঠান প্রভৃতি তাহাদিগের বিশেষ রূপে ভাবিবার বিষয় । “আমি শাস্ত্ৰমৰ্য্যাদা নষ্ট করিতে আসি arè-f facs affrrifi (I have come to fulfil and not to destroy )-উক্তিটির সফলতা স্বামিজী ঐ রূপে ঠু নিজ জীবনে বহুধা প্ৰতিপাদন করিয়া গিয়াছেন। বেদান্তকেশরী শ্ৰীশঙ্করাচাৰ্য বেদান্তনিৰ্ঘোষে ভূলোক কম্পিত করিয়াও : যেমন হিন্দুর দেবদেবীর প্রতি সন্মান প্ৰদৰ্শন করিতে ক্ৰটি, করেন নাই-ভক্তি প্রণোদিত হইয়া নানা স্তবস্তুতি রচনা করিয়াছিলেন, স্বামিজীও তদ্রুপ সত্য ও কৰ্ত্তব্য বুঝিয়াই পূৰ্ব্বোক্ত অনুষ্ঠান সকলের দ্বারা হিন্দু ধৰ্ম্মের প্রতি বহুমান প্ৰদৰ্শন করিয়া গিয়াছেন। রূপে, গুণে, বিদ্যায়, বাগিতায়, শাস্ত্রব্যাখ্যায়, ess