পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন প্রান্তে । দাড়িয়ে উঠবি। “আমি অমুকের চেলা-কামকাঞ্চনজিৎ ঠাকুরের সঙ্গীর সঙ্গী” এইরূপ অভিমান খুব রাখাবি। এতে কল্যাণ হবে। কী অভিমান যার নাই, তার ভিতর ব্ৰহ্ম জাগেন না। রামপ্রসাদের গান শুনিস্নি ? তিনি বলতেন-“এ সংসারে ডরি কারে, রাজা যার মা মহেশ্বরী।” এইরূপ অভিমান সর্বদা মনে জাগিয়ে রাখতে হবে । তা হলে আর হীনবুদ্ধি-হীন সাহস নিকটে আসবে না। কখনও মনে দুর্বলতা আসতে দিবিনি। মহাবীরকে স্মরণ করবি-মহামায়াকে স্মরণ করবি। দেখাবি সব দুর্বলতা-সব কাপুৰূষতা তখনি চলে যাবে। এইরূপ বলিতে বলিতে স্বামিজী নীচে আসিলেন এবং মঠের বিস্তৃত প্রাঙ্গণের আমগাছতলায় পুৰ্ব্বোক্ত ক্যাম্প খাটখানিতে বসিয়া পড়িলেন। তখনও তাহার বিশাল নেত্ৰদ্বয়ে যেন মহাবীরের ভাব ফুটিয়া বাহির হইতেছে । উপবিষ্ট হইয়াই তিনি উপস্থিত সন্ন্যাসী ও ব্ৰহ্মচারিগণের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া শরৎ বাবুকে বলিলেন “এই যে সব দেখছিস্ এরাই প্রত্যক্ষ ব্ৰহ্মা ! এদের উপেক্ষা ক’রে যারা অন্য বিষয়ে মন দেয়-ধিক তাদের । কারামািলকাবৎ এই যে ব্ৰহ্ম। দেখতে পাচ্ছিস নে ?'-এই--এই !” শরৎবাবু বলেন “এমন হৃদয়স্পৰ্শী ভাবে স্বামিজী কথাগুলি বলিলেন যে শুনিয়াই উপস্থিত সকলে “চিত্ৰাপিতারম্ভ ইবাবতস্থে? --সহসা গভীর ধ্যানে মগ্ন। কাহারও মুখে কথাটি নাই ! স্বামী প্ৰেমানন্দ তখন গঙ্গা হইতে কমণ্ডলু করিয়া জল লইয়া ঠাকুরঘরে উঠিতেছিলেন। তঁহাকে দেখিয়াও স্বামিজী ‘এই প্রত্যক্ষ sects