পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ। কোঁটা’ বলিতেন। প্রত্যহ স্নানান্তে ঠাকুরঘরে প্রবেশ করিয়া ঠাকুরের চরণামৃত পান, তাহার শ্ৰীপাদুকা মস্তকে ধারণ ও এই কৌটার সম্মুখে সাষ্টাঙ্গ প্ৰণিপাত ইহা তাহার নিত্যকৰ্ম্ম ছিল। এত শ্ৰদ্ধা ভক্তি সত্বেও একদিন তাহার স্বাভাবিক পরীক্ষা । প্রবৃত্তি বড়ই প্রবল হইয়া উঠিল। তিনি ঐ কোটা মস্তকে : স্পর্শ করিয়া ঠাকুরঘর হইতে বাহিরে আসিতেছেন এমন সময়ে মনে হইল। ‘আচ্ছা, সত্যই কি ইহাতে আত্মারাম ঠাকুরের আবেশ রহিয়াছে ? আচ্ছা দেখি প্রার্থনা করিয়া ।” এই বলিয়া মনে মনে প্রার্থনা করিলেন “ঠাকুর, তুমি যদি সত্য সত্যই ইহার মধ্যে থাক তবে তিনদিনের মধ্যে গোয়ালিয়রের মহারাজকে মঠে আকর্ষণু করিয়া আনে।” তিনি তখন কলিকাতায় আছেন। তিনি জানিতেন যে গোয়ালিয়রের মহারাজার ওখানে আসা নিতান্তই অসম্ভব ব্যাপার, সেইজন্য ঐ প্রার্থনা করিলেন। কিন্তু নিজ মনে মনে এই সকল বলিলেও মঠের অপর কাহারও নিকট তাহা প্ৰকাশ করিলেন না। এমন কি কিছুক্ষণ পরে তিনি নিজেও একথা সম্পূর্ণ বিস্মৃত হইলেন। পরদিন কোন কাৰ্য্যোপলক্ষে তঁহাকে কলিকাতায় যাইতে হয়। অপরান্ত্রে মােঠ ফিরিয়া আসিয়া শুনিলেন গোয়ালিয়রের মহারাজা মঠের নিকটবৰ্ত্তী ট্রাঙ্করোড দিয়া যাইতে যাইতে গাড়ী থামাইয়া স্বামিজী মঠে আছেন। কিনা খবর লইবার জন্য আপন ভ্রাতাকে পঠাইয়া দিয়াছিলেন, কিন্তু স্বামিজী মঠে উপস্থিত না থাকাতে দুঃখিতান্তঃকরণে ফিরিয়া গিয়াছেন। এই কথা শ্রবণমাত্র স্বামিজীর পূর্বদিনের কথা মনে হইল এবং তিনি দ্রুতপদে २०88