পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন প্ৰান্তে । ঠাকুরঘরে প্রবেশ পূর্বক উক্ত কৌটাটি মাথায় ঠেকাইয়া পুনঃ পুনঃ প্ৰণাম করিতে ও বলিতে লাগিলেন “তুমি সত্যি’, ‘তুমি সত্যি’, ‘তুমি সত্যি’। স্বামী প্ৰেমানন্দ সেই সময়ে ধ্যান করিবার জন্য ঠাকুর ঘরে গিয়াছিলেন। তিনি স্বামিজীর কাণ্ড দেখিয়া কিছুই বুঝিতে না পারিয়া অবাক হইয়া রহিলেন। তারপর স্বামিজীর মুখে সকল বৃত্তান্ত শুনিয়া বিস্ময়ে স্তম্ভিত হৃষ্টলেন । স্বামিজী সেইদিন হইতে এই ঘটনার উল্লেখ করিয়া মঠের সকলকে বিশেষ সন্তৰ্পণে উক্ত কৌটার পুজা করিতে আদেশ দিযাছিলেন। এই বৎসব ডিসেম্বর মাসেব শেষভাগে কলিকাতা মহানগরীতে জাতীয-মহাসমিতির অৰ্পিবেশন হওয়ায় ভারতের সকল প্রদেশ হইতে বহু প্ৰতিনিধি। তথায্য সমবেত হইয়াছিলেন। র্তাহীদের মধ্যে অনেকে স্বামিজীর সহিত আলাপ করিবার জন্য প্রত্যহ দলে দলে বেলুড় মঠে গমন করিতেন। স্বামিজী তাহাদিগের সহিত ইংরাজীর পরিবৰ্ত্তে হিন্দীতে আলাপ করিতেন, তাহাতে আলোচ্য বিষযটি সকলেরই মনে দৃঢ়নিবন্ধ হইয়া যাইত। একদিন মঠের প্রকাণ্ড ময়দানে ভ্ৰমণ করিতে করিতে তিনি প্ৰায় দেড় ঘণ্টা ধরিয়া একটি বিষয় সম্বন্ধে প্ৰবল উৎসাহ ও আবেগভরে কথাবাৰ্ত্ত কহিলেন। ঐ বিষয়টার প্রতি তঁহার বরাবরই অতিশয় অনুরাগ ছিল। এই সকল সাক্ষাতের উল্লেখ করিয়া লক্ষ্মৌ-এর ‘অ্যাডভোকেট পত্র লিখিয়াছিলেন - 'When we last saw him in Calcutta during the Congress session, he was eloquently talking is odd