পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন প্রান্তে । গঠিত করিলেন। এই সমিতি বহুকষ্ট্রে কিছু কিছু চাঁদৃংগ্ৰহ করিয়া একটি ক্ষুদ্র বাট ভাড়া লইলেন এবং সহরের পথে ঘাটে অলিতে গলিতে অসহায় ও রোগগ্ৰস্ত বৃদ্ধ বৃদ্ধ দেখিতে পাইলেই সযত্নে তাহাদিগকে বহন করিয়া আনিয়া সেবা শুশ্রুষা, পথ্য ও চিকিৎসাদির ব্যবস্থা করিতে লাগিলেন। ইতিপূৰ্ব্বে বেলুড় মঠে থাকিতে র্তাহার প্রদর্শিত পন্থা অবলম্বনে কেহ কাৰ্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইতেছেন বলিয়া স্বামিজী মধ্যে মধ্যে আক্ষেপ করিতেন। কিন্তু আজ এই দৃশ্য দর্শনে তাহার সে দুঃখ দূর হইল। তিনি যুৱকদিগের এই শুভ সংকল্প ও সাধু অনুষ্ঠানের প্রতি আন্তরিক আশীৰ্বাদ করিলেন এবং তঁহাদের উদ্যম, উৎসাহ ও স্বাৰ্থত্যাগ দর্শনে নিরতিশয় গ্ৰীত হইয়া তাহাদের উৎসাহ বদ্ধনাৰ্থ বলিলেন “বৎসগণ, এই হইতেছে প্ৰকৃত মানব ধৰ্ম্ম, তোমরা এতদিনে ঠিক পথ চিনিতে পারিয়াছ। আশীৰ্বাদ করি ভগবান তোমাদের সহায় হউন ও তোমাদিগের কৰ্ম্ম উত্তরোত্তর অধিক সফলতা লাভ করুক। সাহস ও ধৈৰ্য্য অবলম্বন করিয়া এই কৰ্ম্ম করিয়া যাও। অর্থের জন্য চিন্তিত হইও না। অর্থ আসিবেই আসিবে এবং কালে এই জিনিষটি এত বড় হইয়া দাড়াইবে যে তোমরা তাহা এখন স্বপ্নেও কল্পনা করিতে পার না।” সাধারণের নিকট উপস্থিত হইবার জন্য তিনি বালকদিগকে একটি আবেদন পত্ৰও লিখিয়া দিলেন। এই ভাবে কাশীধামে সুপ্ৰসিদ্ধ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের ভিত্ত্বি প্রতিষ্ঠা হইয়া গেল। এখন এই আশ্রমের নাম ভারতের সর্বত্র সুপরিচিত এবং ইহার কাৰ্য্যকলাপ ভারতীয় দাতব্য ow