পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । ছোয়া এখন আর খাই না, এখন যে বিয়ে হয়েছে, তোদের ছোয়া নুন খেলে জাত যাবেরে বাপ ।” স্বামিজী বলিলেন,- “নুন কেন খাবি ? নুন না দিয়ে তরকারী রোধে দেবো । তা হলে তা খাবি?” কেষ্ট ঐ কথায় স্বীকৃত হইল। অনস্তর স্বামিজীর আদেশে মােঠ সেই সকল সঁওতালদের জন্য লুচি, তারকারী, মেঠাই, মণ্ডা, দধি ইত্যাদি জোগাড় করা হইল এবং তিনি তাহদের বসাইয়া খাওয়াইতে লাগিলেন। খাইতে খাইতে কেষ্ট বলিল-“ষ্ঠাত্রে স্বামী বাপৰ-তোরা এমন জিনিষটি কোথায় পেলি-হামরা এমনটা কখনো খাইনি।” স্বামিজী তাহদের পরিতোষ করিয়া খাওযাইযা বলিলেন,- “তোরা যে নারায়ণ-আজ আমার নারায়ণের ভোগ দেওয হলো।” স্বামিজী যে দরিদ্রনারায়ণ সেবার কথা বলিতেন, তাহা তিনি নিজে এইরূপে অনুষ্ঠান করিয়া দেখাইয়া গিয়াছেন। আহারাস্তে সঁওতালরা বিশ্রাম করিতে গেলে স্বামিজী, শিষ্যকে বলিলেন,-“এদের দেখলুম, যেন সাক্ষাৎ নারায়ণএমন সরল চিত্ত-এমন অকপট অকৃত্রিম ভালবাসা, এমন আর দেখিনি। অনন্তর মঠের সন্ন্যাসীবৰ্গকে লক্ষ্য করিয়া বলিতে লাগিলেন,-“দেখ, এরা কেমন সরল ! এদের কিছু দুঃখ দূর কর্তে পান্থবি ? নতুবা গেরুয়া প’রে আর কি হ’ল ? “পরহিতায়” সৰ্ব্বস্ব অৰ্পণ-এরই নাম যথার্থ সন্ন্যাস। এদের ভাল জিনিষ কখন কিছু ভোগ হয়নি। ইচ্ছা হয়, মঠ ফঠ সব বিক্ৰী ক’রে দিই, এই সব গরীব দুঃখী, দরিদ্রনারায়ণদের বিলিয়ে দিই। আমরা ত গাছতলা সার করেছি । আহা ! দেশের S oV8