পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন প্ৰান্তে । লোক খেতে পরতে পারছেনা-আমরা কোন প্ৰাণে মুখে অন্ন তুলছি? ওদেশে যখন গিয়েছিলুম-মাকে কত বল্লুম‘ম ! এখানে লোক ফুলের বিছানায় শুচ্ছে, চৰ্ব্বচোষ্য খাচ্ছে, কি না ভোগ করছে ।--আর আমাদের দেশের লোকগুলো না খেতে পেয়ে মরে যাচ্ছে-মা ! তাদের কোন উপায় হবে। না ?’ ওদেশে ধৰ্ম্মপ্রচার করতে যাওয়ার আমার এই আর একটা উদ্দেশ্য ছিল যে, এদেশের লোকের জন্য যদি অন্নসংস্থান করিতে পারি। “দেশের লোকে দুবেলা দুমুঠো খেতে পায়না দেখে, এক এক সময় মনে হয-ফেলে দিই তোর শাখ বাজানো, ঘণ্টা নাড়া, ফেলে দিই তোর লেখাপড়া ও নিজে মুক্ত হবার চেষ্টাসকলে মিলে গায়ে গায়ে ঘুরে চরিত্র ও সাধনা বলে বড় লোকদের বুঝিয়ে কড়ি পাতি যোগাড় করে নিয়ে আসি ও দরিদ্রনৃারায়ণদের সেবা করে জীবনটা কাটিয়ে দিই। “আহা, দেশে গরীব দুঃখীর জন্য কেউ ভাবে না রে! যারা জাতির মেরুদণ্ড-যাদের পরিশ্রমে "অন্ন জন্মাচে-ষে মেথর মুদ্ৰফরাস একদিন কাৰ্য্য বন্ধ করলে সহরে হাহাকার রব উঠে-হায়তাদের সহানুভূতি করে, তাহদের সুখে দুঃখে সাস্তুনা দেয়, দেশে এমন কেউ নাইরে । এই দেখা না-হিন্দুদের সহানুভূতি না পেয়ে-মান্দ্ৰাজ অঞ্চলে হাজার হাজার পেরিয়া কৃশ্চিয়ান হয়ে যাচ্ছে। মনে করিাসনি, কেবল পেটের দায়ে কৃশ্চিয়ান হয়। আমাদের সহানুভূতি পায়না ব'লে। দিন রাত কেবল তাদের বলছি-‘ছু সনে’। ‘ছাসনে”। দেশে কি আর ow