পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন প্ৰান্তে { এই আনন্দ ভবনে বাস করিয়া তিনি দেহের কথা সম্পূর্ণ বিস্মৃত হইয়াছিলেন, নিরন্তর আত্মানন্দে বিরাজ করিতেন। ইহার ফলে শ্বাসকষ্টাদি রোগব্যাতনারও কতকটা উপশম হইয়াছিল। কিন্তু বেলুড়ে প্রত্যাগমনের পর তাহার পীড়া আবার বৃদ্ধি পাইল। সম্মুখেই শ্ৰীরামকৃষ্ণদেবের জন্মোৎসব। কিন্তু স্বামিজী আর গৃহের বাহির হইতে পারেন না-একেবারে শয্যাগত। পা খুব ফুলিয়া পড়িয়াছে এবং সৰ্ব্বশরীরে জলসিঞ্চার হইয়াছে। হঁটিবার সামর্থ মোটেই নাই। সকলেই বুঝিলেন এবার অবস্থা শঙ্কাজনক, সুতরাং উৎসবের সময় কাহারও মুখে আনন্দের চিকু নাই-একটা গভীর নৈরাশ্য ও নিরানন্দের ভাব যেন সৰ্ব্বত্র পরিব্যাপ্ত। উৎসব উপলক্ষে বহু লোক সমবেত হইয়াছিলেন। অনেকেই স্বামিজীর দর্শন লাভ ও চরণামৃত পান করিয়া ধন্য হইবেন এই আশায় আসিয়াছিলেন-কিন্তু তেঁহাদের আশা পূর্ণ হইল না। স্বামিজী প্ৰাতঃকাল হইতেই কয়েকবার সাধারণের সমক্ষে উপস্থিত হইবার সঙ্কল্প করিয়াছিলেন বটে, কিন্তু শাস্ত্ৰ বুঝিলেন দু-চার জনের সহিত কথা বলিতেই যখন, ক্লাস্তিবোধ হইতেছে তখন অধিক লোকের সহিত আলাপ করা বিশেষ কষ্টকর হইবে । সেইজন্য তিনি স্বামী নিরঞ্জনানন্দকে স্বীয় গৃহদ্বারের বহির্ভাগে বসাইয়ী রাখিলেন, যেন কেহ ভিতরে না যায়। কেবল শিষ্য শরৎচন্দ্ৰ স্বামিজীর নিকটে বসিয়া শুষ্ক করবে। সে এল ” এবং উত্তর পশ্চিম প্রদেশের কোন সাহারের সঠিত তুহার আগমনের সম্বন্ধ আছে এইরূপ আভাস দিয়াছিলেন। কে বলিবে সেই সহর ৮ কাশীধাম কি মা ! Yo veo