পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানমুখে ধীরে ধীরে তঁহার পায়ে হাত বুলাইতে ছিলেন। স্বামিজীর অবস্থা দর্শনে তঁহার যেন “বুক ফাটিয়া কান্না আসিতে লাগিল।” স্বামিজী তাহার মনোভাব বুঝিতে পারিয়া বলিলেন “কি ভাবছিস্ ? শরীরটা জন্মেছে, আবার মরে যাবে। তোদের ভিতরে আমার ভাবগুলির কিছু কিছুও যদি ঢুকুতে পেরে থাকি, তাহ’লেই জানািব, দেহটা ধরা সাৰ্থক হয়েছে। সৰ্ব্বদা মনে রাখিস, ত্যাগই হচ্ছে-মূলমন্ত্র। এ মন্ত্রে দীক্ষিত না হ’লে ব্ৰহ্মাদিরও মুক্তির উপায় নাই ।” তাহার পর কিঞ্চিৎ অন্যমনস্ক হইয়া কি ভাবিতে ভাবিতে বলিলেন “দেখ, আমার মনে হয়, ঠাকুরের উৎসব। এই রকম ভাবে একদিন না হ’য়ে চার পাচ দিন ধ’রে হলে যেন ভাল হয়। প্ৰথম দিন-হয়ত শাস্ত্রপাঠ ও ব্যাখ্যা চলল। দ্বিতীয় দিন।--বেদ বেদাস্তাদির বিচার ও মীমাংসা হ’ল। তৃতীয় দিন হয় তা duestion class ( প্রশ্নোত্তর ) হল । তারপর দিন স্পচাই কি lecture ( বক্তৃতা ) হল-তাতে শ্ৰীরামকৃষ্ণের জীবনের উদ্দেশ্য, তার আদর্শ ও ভাব সকলকে বুঝিয়ে দেওয়া ভুল। শেষদিনে এখন যেমন মহােৎসব হয়—তেমনি হ’ল— গ অর্থাৎ, সকীৰ্ত্তন পূজা, প্ৰসাদ বিতরণ, এই সব। অবশ্য এ রকম ’’ হ’লে শেষ দিন বৈ অন্য দিনে ঠাকুরের ভক্তমণ্ডলী ছাড়া আর কেউ যে বড় বেশী - আসবে তা বোধ হয় না - তা নাই বা এল । অনেক লোকের গুলতোন করা কিংবা গান বাজনা চীৎকার করে একটা ক্ষণিক উত্তেজনা স্থষ্টি করাই তা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। যাতে ঠাকুরকে লোকে চিন্‌তে ও বুঝতে পারে এবং তার আদর্শ গ্ৰহণ করে জীবন সার্থক কৰ্ত্তে পারে এইটাই হ’ল আসল লক্ষ্য।” § ෂ'Ay