পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন প্ৰান্তে । অনেক সময় স্বামিজী শুনিতে পাইতেন। তঁহার পরিশ্রম হইবে। আশাঙ্কায় গুরুভ্রাতাগণ তাহার দর্শনপ্রার্থী বহু তত্ত্বান্বেষী ব্যক্তিকে বিদায় করিয়া দেন, তঁহার নিকট যাইতে দেন না। অনেকেই এইরূপে ব্যৰ্থ মনোরথ হইয়া ফিরিয়া যায়। ইহা শুনিয়া তিনি একদিন দুঃখিতান্তঃকরণে তঁাহাদিগকে বলিলেন “আরো দেখ এ শরীরে আর কি প্রয়োজন ? পরের কল্যাণের জন্যই এ দেহ পাত হউক। ঠাকুরকে দেখিসনি, শেষ দিন পৰ্য্যন্ত ও লোক কল্যাণের জন্য শিক্ষণ দিয়া গিয়াছেন ? আমারও কি উচিত নয়। তাই করা ? আর এ দেহ গেলেই বা কি আসে। যায ? এ তো অতি তুচ্ছ পদার্থ, যদি দেশের লোকের হৃদয় নিহিত আত্মাকে প্রবুদ্ধ করবার জন্য শত শত বার মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ কৰ্ত্তে হয় তাতেও আমি পশ্চাৎপদ নাই ।” ধন্য গুরুভক্তি ! ধন্য গুরু আদর্শের প্রতি অনুরক্তি, ধন্য দেশপ্ৰেম ! শেষ পৰ্য্যন্ত তিনি তঁাহার শিষ্যবৃন্দকে শিক্ষা দিবার জন্য তৎপর ছিলেন এবং যাহাতে তাহদের মনে আত্মবিশ্বাস, নূতন কৰ্ম্ম আরম্ভ করিবার শক্তি সাহস এবং দায়িত্ববোধের সহিত শুব লঘু বিচারক্ষমতা জন্মে তাহার জন্য চেষ্টা করিতেন। উদাহরণ স্বরূপ এখানে একটি ঘটনার উল্লেখ করা যাইতে পারে। উদ্বোধন পত্রের তাৎকালীন পরিচালক একটি অতি সামান্য বিষয়ের জন্য তঁহার মত জিজ্ঞাসা করিতে আসেন ও তজষ্ঠ ভৎসিত হন। ব্যাপার এই যে, মহামহােপাধ্যায় পণ্ডিত প্রমথনাথ তর্কভূষণ এবং স্বামিজীর শিষ্য শ্ৰীযুক্ত শরচ্চন্দ্ৰ চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয় উভয়েই উদ্বোধনের জন্য গীতার বঙ্গানুবাদ So