পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন প্ৰান্তে । করিয়া যাও-সরল প্ৰাণে তঁহাকে স্মরণ মনন কর একান্ত নির্ভরতার সহিত তাহার পদপ্রান্তে শরণা লাও-সেই হইল আসল পূজা। বেশী পুঁটিনাটিতে কাজ কি ? তাহাতে কেবল সময়ের অপব্যবহার। তাহা অপেক্ষা সেই সময়টা শাস্ত্ৰচৰ্চা, শাস্বালাপ, ধ্যানধারণা এবং তঁহার উপদেশের অনুধ্যানে অতিবাহিত কর, তাহাতে বেশী ফল হইবে-এই কথা তিনি সর্বদাই বলিতেন। শাস্ত্রানুশীলনের উপর তিনি খুব জোর দিতেন। প্ৰত্যহ উহা আরম্ভ করিবার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে ঘণ্টা বাজিত । নিয়ম ছিল ঘণ্টাধ্বনি হইবামাত্ৰ সকলকে সৰ্ব্বকৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া পাঠ্যস্তানে সমবেত হইতে হক্টবে। কেহ কোন কারণে দেরী করিলে বা অনুপস্থিত হইলে স্বামিজীর নিকট বিলক্ষণ তিরুস্কৃত হইতেন। অনেক সময়ে ইতাতে মঠের গৃহকাৰ্য বা ঠাকুরপূজার অসুবিধা হইত বা যথাযথভাবে সম্পন্ন হইত না। তাহাতেও স্বামিজীর নিকট পরিত্ৰাণ ছিল না । সব কাজ ঠিক সময়ে নিৰ্বাহিত হওয়া চাই। স্বামিজী সকলকে যেমন ভালবাসিতেন স্নেহ করিতেন, তেমনি আবার কঠোর ভাবে শাসন করিতেও জানিতেন, অন্যায়ের প্রশ্রয় দিতেন না । শিষ্য ও গুরু লতাগণও সেইজন্য তঁহাকে যেমন ভালবাসিতেন তেমনি ভয়ও করিতেন । ধ্যানধারণার উপর স্বামিজী বরাবরই জোর দিতেন। দেহত্যাগের পূর্বে কয়েকমাস ধরিয়া এসম্বন্ধে আরও বেশী কড়াকড়ি করিয়াছিলেন। ভোর চারিটার সময় ঠাকুরঘৱে গিয়া ধ্যান করিবার জন্য ঘণ্টা পড়িত। ঘণ্টা বাজিবার আধ ঘণ্টার মধ্যে সকলকেই নির্দিষ্ট স্থানে গমন করিতে হইত। $ e “ክዓ