পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাপ্রস্থানের পূর্বাভাস। বিশেষ যত্ন লাইতেন বা আগ্ৰহ প্ৰকাশ করিতেন। এ সময়ে সেগুলির প্রতিও আর যত্ন বা আগ্রহ ছিলনা-সব বিষয়েই উদাসীন ভাব সৰ্ব্বদাই যেন মানস তপে নিযুক্ত। মাঝে মাঝে এভােব দর্শনে গুরুভ্রাতা ও শিষ্যগণ যে উদ্বিগ্ন না হইতেন তাহা নহে, কারণ তঁহাদের মনে শ্ৰীরামকৃষ্ণদেবের সেই কথাটি যখন তখন উদিত হইত-“ও যখন নিজেকে জানতে পাৰূবে তখন আর দেহ রাখবেন।” একদিন পূর্বপ্নবিষয়ের আলোচনা প্রসঙ্গে একজন গুৰুভ্ৰাতা তেঁাহাকে জিজ্ঞাসাও করিয়াছিলেন “স্বামিজী, এখন কি আপনি বুঝতে পেরেচেন। আপনি কে ? স্বামিজী তৎক্ষণাৎ উত্তর দিলেন ‘হঁ। পেরেচি বৈকি ? কিন্তু সে উত্তরে সকলেই স্তব্ধ হইয়া গেলেন। কাহারও আর কিছু জিজ্ঞাসা করিতে সাহস হইল না। সকলেই বুঝিলেন, এখন তিনি যে কোন মুহূৰ্ত্তে দেহত্যাগের সঙ্কল্প করিতে পারেন। দেহত্যাগের এক সপ্তাহ পূৰ্ব্বে তিনি স্বামী শুদ্ধানন্দকে একখানি পঞ্জিকা আনিতে বলিলেন এবং উহা আনীত হইলে সেই দিন যে তারিখ তাহার পর কতকগুলি পাতা উলটাইয়া পঞ্জিকাথানি BB DDD BDBB BD DBB DDD DD DDBDBD নিবিষ্টচিত্তে উক্ত পঞ্জিকার পাতা উলটাইতে দেখিতে পাওয়া যাইত বোধ হইত যেন তিনি কোন বিশেষ দিনের অনুসন্ধান করিতেছেন। তাহার দেহান্ত হইলে সকলেই বুঝিলেন পঞ্জিকা দেখিবার উদ্দেশ্য কি ছিল। স্মরণ হইল। ভগবান শ্ৰীরামকৃষ্ণদেবও দেহত্যাগের পূৰ্ব্বে ঐরাপ করিয়াছিলেন। রোগশয্যায় እ 6ኳንላማ)