পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । একটি গভীর নিশ্বাস ফেলিলেন। তার পরই সব যেন স্থির হইয়া গেল-ক্লান্ত শিশু যেন মার ক্রোড়ে ঘুমাইতে লাগিলেন। চক্ষু দুটি ভ্রর মধ্যস্থলে স্থিরভাবে নিবদ্ধ-মুখে স্বৰ্গীয় জ্যোতিঃ প্রকটত-দেখিয়া বোধ হইতেছে যেন তিনি মহাধ্যানে নিমগ্ন । তখন ৯টা বাজিয়া মিনিট দশেক মাত্ৰ হুইয়াছে। ব্ৰহ্মচারিটি অল্প বয়স্ক। কিছু বুঝিতে না পারিয়া তাড়াতাড়ি একজন অধিক বয়স্ক সন্ন্যাসীকে ( বোধহয় নিশ্চয়ানন্দ) ডাকিলেন। তখন সবে মাত্ৰ সন্ধ্যভোজনের ঘণ্টা পড়িয়াছে। সন্ন্যাসীজি আসিয়াই নাড়ী দেখিলেন, কিন্তু নাড়ীর গতি অনুভূত না হওয়াতে তৎক্ষণাৎ আর একজনকে আহবান করিলেন ( ইনি বােধ হয় প্রেমানন্দ স্বামী)। দুইজনেই দেখিলেন নাড়ী নাই। শঙ্কায় হৃদয পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল। কিন্তু তথাপি মুখ ফুটিয়া কিছু বলিতে সাহস করিতেছেন না-বিশ্বাসও হইতেছে না যে তাহাদের প্ৰিয়তম স্বামিজীী সত্যই তঁহাদিগকে চিরজনমের মত ছাড়িযা গিয়াছেন। প্ৰেমানন্দ স্বামী মনে করিলেন বোধ হয় সমাধি হইয়াছে ; ঠাকুরের নাম শুনালেই বাহচৈতন্ত হইবে। সেই জন্য তিনি এবং নিশ্চয়ানন্দ উভয়েই উচ্চৈঃস্বরে শ্ৰীরামকৃষ্ণদেবের নাম কীৰ্ত্তন করিতে লাগিলেন। কিন্তু কিছু তেই সমাধি ভঙ্গ হইল না। হায় হয়, এ যে মহাসমাধি ! ইতিমধ্যে অন্যান্য সন্ন্যাসীরা সকলে আসিয়া পড়িয়াছিলেন। অদ্বৈতানন্দ স্বামী বোধ্যানন্দ স্বামীকে ভাল করিয়া নাড়ী পরীক্ষা করিতে বলিলেন। তিনি কিয়ৎক্ষণ নাড়ী ধরিয়া দাড়াইয়া চীৎকার স্বরে কাদিয়া উঠিলেন। স্বামী অদ্বৈতানন্দ তখন

  • ୫ କୋକିଙ୍ଗ୍