পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাসমাধি । নিৰ্ভয়ানন্দকে বলিলেন “হায় হায়! আর কি দেখিতেছি ? শীঘ্ৰ মহেন্দ্ৰ ডাক্তারকে ( বরাহনগরের তদানীন্তন প্ৰসিদ্ধ চিকিৎসক মহেন্দ্রনাথ মজুমদার } ডাকিয়া আন।” একজন তখনই ডাক্তার ডাকিতে ছুটলেন। আর একজন কলিকাতায় স্বামী ব্ৰহ্মানন্দ ও স্বামী সারদানন্দকে সংবাদ দিতে গেলেন। রাত্রি সাড়ে দশটার সময়ে তাহারা উভয়ে মঠে আসিয়া পৌছিলেন। ডাক্তারও আসিয়া অনেকক্ষণ ধরিয়া নানাবিধ পরীক্ষা করিলেন এবং হস্তাদি ঘুবাইয়া কৃত্রিম উপায়ে চৈতন্য সম্পাদনের চেষ্টা করিতে লাগিলেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হইল না। রাত্রি বারোটার সময় ডাক্তার বলিলেন প্ৰাণবায়ু নিৰ্গত হইয়া গিযাছে। কিন্তু প্ৰাণবায়ু নিৰ্গত হওয়ার পরেও স্বামিজীর দেহের কিছুমাত্র পরিবর্তন বা বৈলক্ষণ্য হয নাই। র্তাহার যে পীড়া হইষাছিল বা মৃত্যু হইয়াছে এরূপ কোন লক্ষণই দেখা যাইতেfiger. He looked so fresh and so healthy and strong ( এত সুস্থ, সবল ও জীবন্ত দেখাইতেছিল! )-বাস্তবিক মৃত্যুতেও যেন তঁহাকে সমাধিলীন শিবমূৰ্ত্তির ন্যায় সুন্দর দেখাইতেছিল। বিশাল পদ্মচক্ষুদুটি উৰ্দ্ধগামী হইয়া গিয়াছিল, কিন্তু তাহাদিগের শ্বেতাংশ হইতে হেন অপরূপ জ্যোতিঃ বিচ্ছরিত হইতেছিল। সে রাত্রি এই ভাবে কাটিল। প্রাতে দেখা গেল-ৰ্তাহার চক্ষুদুটি জবাকুসুমের মৃত্যুয় লোহিতাভ হইয়াছে এবং নাসিকাদ্বার ও মুখ প্ৰান্তে একটু রক্ত চিহ্ন রহিয়াছে। প্ৰাতে কলিকাতা হইতে সুবিজ্ঞ ডাক্তার 为砂岛°