পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । চিত হইয়াছে। কিন্তু প্ৰধানতঃ নিজের সম্বন্ধে কতকগুলি কথার উল্লেখ ও সংস্কার সম্বন্ধীয মন্তব্যপূর্ণ বলিয়াই ইহা বিশেষ ভাবে পাঠের যোগ্য । এই বক্তৃতা পাঠে আমরা জানিতে পাবি যে গ্নিগুসফিক্যাল সোসাইট, ব্ৰাহ্মসমাজ বা খৃষ্টব্য মিশনারী কোন সম্প্রদায়ের নিকট হইতেই তিনি আমেরিকাষ কোন প্রকার সাহায্য প্রাপ্ত হন নাই ববং তঁহাদের অনেকে তঁাহার প্রতিকুলাচরণ করিয়াছিলেন। দ্বিতীয় বক্তৃতায় তিনি হিন্দুশব্দের উৎপত্তি নিৰ্ণয় প্রসঙ্গেব অবতাবণা করিষা বলেন হিন্দুশব্দ যখন যে অর্থেই প্ৰযুক্ত হইসি। থাকুক, যে ব্যক্তি বেদের সর্বোচ্চ প্ৰামান্য অস্বীকাৰ করে, তাহাব নিজেকে হিন্দু বলিবার অধিকাব নাই। এই বেদের সারাংশ উপনিষদ বা বেদান্ত ; সুতরাং বৰ্ত্তমান কালে সমগ্ৰ ভারতে{ হিন্দুকে যদি কোন সাধারণ নামে পরিচিত করিতে কষ, তবে তাহাদিগকে সম্ভবতঃ বৈদন্তিক বা বৈদিক এই দুইটির মধ্যে যাহা হউক একটা বলিলেই ঠিক বলা হয়। তারপর তিনি বেদ মামধেয় অনাদি অনন্ত জ্ঞানীরাশি, ভারতীয় সর্ববিধ ধৰ্ম্মমত, এমন কি বৌদ্ধ ও জৈন ধৰ্ম্মেরও মূলভিত্তি এবং শান্ত্রি ও দেশাচারের পার্থক্য ও বেদব্যাখ্যায় ভাষ্যকারদিগের মতভেদ প্রদর্শন কবিয়া যুগাবতার শ্ৰীয়ামকৃষ্ণদেব কি ভাবে সকল মতের সমন্বয় সাধন করি যাছিলেন তাহা বিবৃত করেম। তৎপরে তিনি উপনিষৎ সমূহের অদ্ভুত ভাষার প্রশংসা করিয়া মুণ্ডকোপনিষদ হইতে “স্থা সুপর্ণা—’ইত্যাদি বাক্য উদ্ধত করিয়া প্রমাণ ধরেন, উপনিষৎ তত্বের আরম্ভ দ্বৈতবাদে ও সমাপ্তি অদ্বৈতে এবং পুীণর ኣፅፃ ❖