পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । সম্ভবপর নহে। ইহা বিশেষভাবে অনুভব করিষাছিলেন বলিয়াই তিনি সর্বদা বলিতেন ‘শক্তি চাই-শক্তি সঞ্চয় কব ।” মাম্প্রদাজে এক বক্তৃতাষ বলিযাছিলেন “আমাদেব আবশ্যক শক্তি -শক্তি, কেবল শক্তি। আর উপনিষৎসমূহ শক্তিব্য বৃহৎ আকর। স্বরূপ । উহার প্রত্যেক ছত্র আমায শিখাইয়াছে।--শক্তি ” তিনি ভাবিতেন যে স্বদেশবাসীর এই অসীম শক্তি জাগাইয়া তোলাই ভঁাহার জীবনের প্রধান কাৰ্য্য। তিনি একজন শিষ্যকে একদিন বলিযাছিলেন- “সংগ্রামশীলতাই জীবনের চিহ্ন। যে জাতির চেষ্টা নেই, আত্মরক্ষার ক্ষমতা নেই সে জাতটা মবেছে— যেমন আমাদের জাত । হাজার বছর কি তারও বেশী দিন ধ’রে তোরা শুলুচিস যে তোরা কিছু নয়, কোন কাজেৰষ্ট নয, শুনে শুনে তোরা ৰিশ্বাস কৰচিল বুঝি সত্যই তোরা অপদার্থ। কিন্তু যদিও এদেশের মাটীতে এ শরীরের পর্যাদা হযেছে, তথাপি এক মুহুর্তের জন্যও আমি ওঝাঁপ চিন্তাকে মনে স্থান দিইনি, নিজের ওপর আমার অগাধ বিশ্বাস । তাই প্রভুর দয়াতে, যাবা এতদিন ধ’রে আমাদের লাথিন্ধাটা মেরে আসছিল, তারাই আজ আমাকে তাদের শিক্ষাদাতা গুৰু ব’লে মানতে আরম্ভ ক’রেছে। তোরাও যদি আপনাদের উপব বিশ্বাস রাখিস, শ্ৰদ্ধা স্নাথিন্স, আত্মশক্তিতে উদ্বুদ্ধ হ’স তৰে তোরাও ঠিক আমার মতন হবি, অসাধ্য সাধন কৰুবি আমি সেই আদর্শ দেখাতেই তোদের মধ্যে এসেছি! এই সত্যটা শেখ । আর গ্রামে গ্রামে, নগরে নগয়ে, প্রতি পল্পীতে, প্ৰতি গৃহদ্বারে উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করা ‘ওঠে। জাগে, আর স্বপ্নঘোরে খেকো না, এতোমার ভেতর অমিত বিক্রম 9brܬ