পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোপাল শীলের বাগানে । অনেক দিন নিৰ্জন গিরিগুহায় কাটাইয়াছিলাম এবং মাঝে মাঝে মুক্তি দূরবর্তী দেখিয়া প্ৰায়োপবেশনে প্ৰাণত্যাগ করিবার সঙ্কল্প করিতাম। কিন্তু এখন আব্ব আমার মুক্তিয় আকাঙ্ক্ষা নাই। এখন ভাবি ব্ৰহ্মাণ্ডের একজনও যতদিন অমুক্ত থাকিবে ততদিন আমার নিজের মুক্তি চাই না।” বুদ্ধদেবও একদিন ঠিক এই কথা বলিযাছিলেন। বোধ হয় যাহারা ঈশ্বরের বিশেফ কাৰ্য সাধনের জন্য মুগাচাৰ্য্যৰূপে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েন র্তাহারাই মুক্তিকে এইৰূপ করতলামলকবৎ বোধ করেন, কারণ তঁহাদের জীবন শুধু পরকে মুক্তিপথে অগ্রসর করিবার জন্য, নিজের মুক্তির জন্য নহে। দেশের দুৰ্দশা দর্শনে তঁহার প্রাণ কাদিয়াছিল। তাই তিনি এখন হইতে কায়মনোবাক্যে তাঁহারই প্ৰতিকার সাধনে ব্যাপুত হইলেন। এ প্ৰতিকারের প্রথম সোপান ভারতে জাতি প্ৰতিষ্ঠা। কিন্তু এখানে মানুষ কৈ ! যাহাঁদের লইয়া জাতি তাহার কোথায় ? সেইজন্য তিনি বক্তৃতা, উপদেশ, স্বীয় আদর্শ চরিত্র ও স্বীয় আদর্শে গঠিত গুরু ভ্রাতৃগণের উজ্জ্বল দৃষ্টান্তু দ্বারা এদেশে লোকচরিত্র গঠনের জন্য চেষ্টা করিতে লাগিলেন । বহুবর্ষব্যাপী অধীনতা, দাসত্ব ও সামাজিক রাজনৈতিক উভয়বিধ অত্যাচারে এ দেশের জনসাধারণ হীনবীৰ্য্য ও মনুষ্যত্ব বজ্জিত হইয়া পড়িয়াছে, তাহদের মধ্য হইতে সমপ্ৰাণতা, সহানুভূতি, শৌৰ্য্য, বীৰ্য্য এককালে তিরোহিত হইয়া তৎস্থানে ভীরুতা, কাপুরুষতা, ঈৰ্য্যা, দ্বেষ ও সর্বপ্রকার দুর্বলতা রাজত্ব করিতেছে। এইগুলি দূর করিতে না পারিলে এদেশের মঙ্গল বা উন্নতি সাধন কখনই Ses