পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিতৃবিয়োগ ও সাংসারিক কষ্ট እ »(? ভয় বা লজ্জায় কোন বিষয় লুকাইবার অভ্যাস র্তাহার হয় নাই। সুতরাং ঈশ্বর নাই বা থাকিলেও তঁাহাকে ডাকিবার কোন প্রয়োজন নাই, কারণ তিনি থাকা না থাকাতে কাহারও কিছু আসে যায় না,--নিরাশা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এরূপ ধরণের অভিমানসুচক কথা স্পষ্টবাক্যে লোকের নিকট প্ৰকাশ করিতে এখন তঁহার বিন্দুমাত্ৰ কুণ্ঠ বোধ হইত না । তাহার উপর মাঝে মাঝে পূৰ্বোক্ত চরিত্রহীন বন্ধুবান্ধবদিগের সহিত মিলিয়া আমোদ প্ৰমোদ করিতে থাকায় শীঘ্রই রবি উঠিল। তিনি নাস্তিক হইয়াছেন এবং দুশ্চরিত্র লোকের সংসর্গে মদ্যপান ও বেশ্যালয়ে গমন । পৰ্য্যন্ত করিতে সঙ্কুচিত হইতেছেন না । এই অযথা নিন্দায় তাহার আবাল্য-তেজস্ব হৃদয় আরও কঠিন হহঁয়া উঠিয়াছিল, সুতরাং তিনি আরও ইচ্ছা করিয়া লোক দেখাইবার জন্য সকলকে বলিতে লাগিং স যে, এই দুঃখ-কষ্ট্রের সংসারে নিজ নিজ দুৰ্দশা কিছুক্ষণ ভুলিয়া থাকিবার জন্য যদি কেহ মদ্যপান বা বেশ্যা-গৃহে গমন করে তাহাতে দেখেই বা কি ; শুধু তাই নহে, যদি তিনি নিঃসদেহে বুঝিতে পারেন যে ঐ রূপ করিলে প্রকৃতই সুখ হয়, তাহা হইলুেঃতিনিও ঐরূপ করিতে রাজা আছেন, সেজন্য লোকনিন্দাভয় গ্ৰাহা করিবেন না । স্বামীজি বলিতেন “স্ট্ররূপ অহঙ্কারে অভিমানে নাস্তিকতার পোষণ করিলে হইবে কি, পরীক্ষণেই বাল্যকাল হইতে, বিশেষতঃ ঠাকুরের সহিত সাক্ষাতের পরে জীবনে যে সকল অদ্ভুত অনুভূতি উপস্থিত হইয়াছিল। সেই সকলের কথা উজ্জ্বলাবর্ণে মনে উদয় হওয়ায় ভাবিতে থাকিতাম-ঈশ্বর নিশ্চয় আছেন এবং তাঁহাকে লাভ করিবার ঋও নিশ্চয় আছে, নতুবা এই সংসারে প্রাণধারণের কোনই আৱশ্যকতা নাই; জীবনে যতই কেন দুঃখ কষ্ট আসুক না, সেই পথ খুজিয়া বাহির করিতে হইবে। ঐ রূপে দিনের পর দিন যাইতে