পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8o স্বামী বিবেকানন্দ SS 3& বসিয়া ধ্যান আরম্ভ করিলেন। * তখন সন্ধ্যার অন্ধকার চতুর্দিকে গাঢ় হইয়া আসিয়াছে, জগৎ নিস্তব্ধতার ক্রোড়ে ঢলিয়া পড়িতেছে। ধ্যান করিতে করিতে নরেন্দ্র সহসা দরবিগলিতাশ্র হইয়া, সমীপবৰ্ত্তী গুরুভ্রাতার কণ্ঠে হস্তার্পণ পূর্বক অতি প্ৰেমভরে আলিঙ্গন করিলেন। গুরুভ্রাতা তাহার এবম্বিধ ভাব দর্শনে চমৎকৃত হইয়া কারণ জিজ্ঞাসা করিতে যাইতেছিলেন, এমন সময়ে দেখিলেন নরেন্দ্ৰ আবার গভীর ধ্যাননিমগ্ন হইলেন । তিনি কেন যে ঐ রূপ করিয়াছিলেন, সে রহস্য ভেদ করিবার আর উপায় নাই। খুব সম্ভবতঃ ধ্যানযোগে তথাগতের সান্নিধ্য উপলব্ধি করিয়া যেন তঁহারই চরণালিঙ্গন করিতেছেন, এই ভাবিয়া তিনি সম্মুখে যাহা পাইয়াছিলেন তাহাকেই আঁকড়াইয়া ধরিয়াছিলেন । বুদ্ধগয়ায় তঁহারা তিন দিবস রছিলেন। নরেন্দ্রের আরও অধিক দূৱ ভ্রমণের ইচ্ছা ছিল, কিন্তু তাহার সঙ্গীদ্বয় পরমহংসদেবের সংবাদ না পাইয়া কাতর হইয়া পড়ায়, তিনি অগত্য তঁহাদিগকে সঙ্গে লইয়া কলিকাতায় প্রত্যাগমন করিতে বাধ্য হইলেন। যাত্রাকালে তঁাহারা পরমহংসদেব বা আর কাহাকেও কিছু বলিয়া যান নাই, সুতরাং - তাহদের অকস্মাৎ আদর্শনে সকলেই বিচলিত হইয়াছিলেন। গুরুভ্রাতাদিগের মধ্যে তখন বিশেষ ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ স্থাপিত হইয়াছে। একে অপরকে না দেখিয়া থাকিতে পারেন না। তাহার উপর নরেন্দ্ৰ সকলেরই নিকট সর্বাপেক্ষা অধিক প্রিয়। সেই নরেন্দ্রের এইরূপ অদর্শনে তাহারা কি হইল কিছু স্থির করিতে না পারিয়া বিশেষ চঞ্চল হইয়া উঠিলেন এবং সকলে মিলিয়া পরমহংসদেবের কাণে একথা তুলিলেন। তিনি কিছু বলিলেন না, শুধু মৃদুহান্ত করিলেন। তারপর বলিলেন “সে কোথায়ও যাবে না, ।