পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ R } ১৮৯৩ খ্ৰীষ্টাব্দে সেই জগদ্বিখ্যাত চিকাগো ধৰ্ম্মমহামেলায় যখন তঁাহার হিন্দুধৰ্ম্ম সম্বন্ধে বক্তৃতা প্ৰকাশিত হইল, তখন হইতেই বিশেষভাবে তাহার জীবন ও উপদেশের দিকে দৃষ্টি আকৃষ্ট হইল। তখন হইতে সংবাদপত্রে তঁহার সম্বন্ধে যাহা কিছু প্ৰকাশিত হইতে লাগিল অথব: তৎসম্বন্ধীয় বা তৎপ্ৰণীত যে কোন পুস্তক-পুস্তিকা প্রচারিত হইতে লাগিল, তাহাই শুধু সাগ্রহে অধ্যয়ন করিতে লাগিলাম তাহা নহে, তঁহার গুরুভ্রাতৃবর্গের নিকট হইতেও তৎসম্বন্ধে অনেক বিষয় অবগত্যু হইতে লাগিলাম এবং তাহাতে তাহার আশ্চৰ্য্য ত্যাগ ও তপস্যার কথা, অপূৰ্ব্ব গুরুভক্তি, অদ্ভুত পাণ্ডিত্য ও সর্বোপরি তঁাহার যুক্তিপূর্ণ উদার মতসমূহের পরিচয় পাইয়া মুগ্ধ হইলাম। পরিশে ১৮৯৭ খ্ৰীষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে যখন তিনি কলিকাতায় পদা করিলেন, তখন প্রথম শিয়ালদহ ষ্টেশনে তাহার অপূৰ্ব তেজোমৰি প্ৰতিভাদীপ্ত বদনমণ্ডল দেখিয়া তিনি যে আলোকসামান্য মহাপুরুষ তদ্বিষয় প্ৰাণে প্ৰাণে অনুভব করিলাম। এই ১৮৯৭ খ্ৰীষ্টাব্দ , হইতে স্বামীজির লীলাসম্বরণের সময় পৰ্য্যন্ত ( ১৯০২ খ্ৰীষ্টাব্দের ৪ঠা জুলাই ) নানাস্থানে তঁাহার অপূর্ব উপদেশামৃত শুনিবার এবং ঘনিষ্ঠভাবে তাহার সহিত মিশিবার সৌভাগ্য লাভ করিয়াছি। ১৮৯৭ খ্ৰীষ্টাব্দের মে মাসে আমার মঠে যোগ দিবার পূৰ্ব্বে কাশীপুরের উদ্যানে যখন স্বামীজি অবস্থান করেন, তখন উপযুপরি কয়েকবার এবং তদানীন্তন আলমবাজার মঠে যোগ দিবার কিছু পরেই ঔাহার দাৰ্জিলিঙ্গ হইতে প্রত্যাবৰ্ত্তনের পর ও আলমোড়া যাত্রার পূর্ব পর্যন্ত ঐ মঠে ৪৫ দিন মাত্র তাহার সঙ্গলাভ করি। ( এই সময়কার কিছু কিন্তু বিবরণ বহু পরে ‘স্বামীজির অঙ্কুটস্কৃতি’ নাম দিয়া উদ্বোধনে প্রকাশ করিয়াছি )। পরে ঐ বৎসর ৮ পূজার পর লাহােরে তঁাহার