পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సి రి স্বাস্থ্যবিজ্ঞান । নিৰ্দ্ধারিত হইল, তবে ভারতবাসীর পক্ষে যে সুরা বিষবৎ পরিত্যাগ করা বিধেয় তাহাতে সন্দেহ নাই। (খ) অহিফেন-অহিফেন লইয়া সম্প্রতি চিকিৎসকদের মধ্যে অনেক মতভেদ হইয়াছে। কিন্তু অন্ন জলের ন্যায় অহিফেন একান্ত প্রয়োজনীয় এ কথা কেহই বলেন না। অবস্থা ও রোগ বিশেষে অহিফেন সেবনীয় হইতে পারে, কিন্তু সুস্থ ব্যক্তির পক্ষে ইহার কিছুমাত্র প্রয়োজন নাই। ভােব প্রকাশ প্রণেতা বলেন। —= "সেবানাৎ পুং ত্বনাশনং|” “অহিফেন নিত্য সেবন করিলে পুরুষত্ব হানি হয়।” অহিফেনের ধূম্র পান বা ‘গুলি খাওয়া” অত্যন্ত অনিষ্টকর । ইহাতে শরীর জীর্ণ শীর্ণ হয় এবং লোক মনুষ্যত্ব বিহীন হয়। অতিরিক্ত অহিফেন সেবনে স্নায়ুমণ্ডলী দুর্বল, শরীর শীর্ণ, চক্ষু নিস্তেজ, দৃষ্টি ক্ষীণ, কোষ্ঠ কঠিন, ক্ষুধা মন্দীভূত, পাকশক্তি বিনষ্ট এবং হস্ত কম্পিত হয়। আফিং খোরদের কিছুতেই নিদ্রা হয় না । (গ) গাজা তিন আকারে ব্যবহৃত হয় :-(১) গাজা—বা শুষ্ক পুষ্পবিলী । (২) চরস-পত্ৰ,পুষ্প এবং বৃক্ষের আঠা (resin) এবং (৩) ভাঙ্গ বা সিদ্ধি-বৃহৎ পত্র ও ফল । সার উইলিয়াম ওসেনেসি বলেন গাজা সেবনের অৰ্দ্ধ ঘণ্টা পর মাদকতা উৎপন্ন হয় ; গা ভারি ভারি বোধ হয়, আলস্য ও সুখকর কল্পনা উদিত হয়, কিন্তু কৰ্ম্ম করিবার শক্তি লুপ্ত হয় না । সিদ্ধি সেবনের অৰ্দ্ধা ঘণ্টার মধ্যে মত্ততা জন্মে। কেহ বা আমোদপ্রিয় হয়, গান ও নৃত্য করে, অধিক রুচিপূর্বক আহার করে এবং ইন্দ্ৰিয় লালসা চরিতাৰ্থ করিতে প্ৰবৃত্ত হয়। কলহপ্রিয় ব্যক্তিগণ ঘোরতর কলহ করিতে থাকে ৷ মত্ততা তিন ঘণ্টা পৰ্য্যন্ত থাকে, তৎপর নিদ্রার আবেশ হয় । আমাশয় কি অন্ত্রের কোন রোগ হয় না। পরদিন মস্তক কিঞ্চিৎ ঘূর্ণিত ও চক্ষু লোহিত হয় । গাজাখোর সম্বন্ধে অদ্য পৰ্য্যন্ত বিশেষ কোন অনুসন্ধান হয় নাই। কেবল এইমাত্র বলা যায় যে, উন্মাদ ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই গাঁজাখোর বলিয়া প্রমাণিত হইয়াছে।