পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্যাথজেনিক মাইক্রোবের লক্ষণ । Σ Οση থাকিতে পারে। কমা ব্যাসিলাস এক ঘণ্টা পৰ্য্যন্ত – ১০” ডিগ্রিতে, এবং আন্থ,াক্স ব্যাসিলাস – ১১০” ডিগ্রি শীতেও জীবন ধারণ করিতে দেখা গিয়াছে। অধিকাংশ মাইক্রোব ১২৪৭-১৪০” ডিগ্রির অধিক তাপে বিনষ্ট হয়। কিন্তু ইহাদের স্পোর বিনাশ করিতে আরও অধিক তাপ লাগে। স্পোর ২১২-২১৬°F ডিগ্রি শুষ্ক তাপে ৪ ঘণ্টায়, এবং ২১২০ ডিগ্রি তাপ বিশিষ্ট জলীয় বাম্পে অল্প সময়েই বিনষ্ট হয়। কোন বীজ ১২০” সেণ্টিগ্রেড তাপে সজীব থাকে না । (১৩) অধিক নাড়া চাড়ায় ইহাদের বৃদ্ধি হয় না । (১৪) ডিস ইনফেক্‌টেণ্ট (disinfectant) দ্বারা ইহারা বিনষ্ট হয়। (১৫) ইহারা রোগিদেহ হইতে জল, বায়ু, ও ভূমিতে প্ৰবেশ করে। বায়ুতে অল্প পরিমাণেই থাকে। কোন কোন মাইক্রোব জল ও ভূমিতে অনেকদিন পৰ্য্যন্ত জীবন ধারণ করে ও বৰ্দ্ধিত হইতে থাকে। (SS) নন-প্যাথজেনিক মাইক্রোব জীবিত জীবের দেহে বৰ্দ্ধিত হয় না। (১৭) প্যাথজেনিক মাইক্রোবের ৪ট বিশেষ লক্ষণ :-(১) মাইক্ৰোবজনিত পীড়ায় আক্ৰান্ত জীবদেহের রক্তে বা অংশ বিশেষে ঐ মাইক্রোব পাওয়া যায় ; (২) ঐ রক্ত বা অংশ বিশেষ হইতে বাহির করিয়া ঐ মাইক্রোব য়্যাগার-য়্যাগার (agar agar) প্রভৃতি নিউটয়েণ্ট fift3 (nutrient medium) বা মাইক্রোব খাদ্যে মিশ্রিত করিলে উপযুক্ত তাপ সংযোগে ক্রমশঃ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইতে থাকে ; (৩) পূৰ্ব্বোক্ত জীবদেহজাত ও নিউট্ৰিয়েণ্ট মিডিয়ামে বৰ্দ্ধিত মাইক্রোব, দ্বিতীয় একটা জীবের দেহে প্ৰবিষ্ট করাইলে, প্রথম জীবের রোগে দ্বিতীয় জীব আক্রান্ত হয় ; (৪) দ্বিতীয় জীবের দেহে উক্ত পীড়াজনক মাইক্ৰোব পাওয়া যায়। এই লক্ষণ চতুষ্টয় লক্ষিত না হইলে কোন বিশেষ মাইক্রোব কোন বিশেষ রোগের কারণ বলিয়া নিৰ্দ্ধারিত করা যায় না । (১৮) প্যাথজেনিক মাইক্রোব দেহে প্ৰবিষ্ট হইবামাত্ৰই যে পীড়া প্ৰকাশ করে তাহা নহে, কিন্তু ক্ৰমশঃ রোগোৎপাদনক্ষম এক দল মাইক্রোব সৃষ্টি করিতে থাকে। এই নূতন দল জন্মাইতে যে সময় লাগে, তাহাকে ইনকুবেশন পিরিয়ড (incubation period) বা অপ্রকাশিত অবস্থা বলে ।