পাতা:স্বাস্থ্য-রক্ষা.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 り স্বাস্থ্য-রক্ষণ । উপকার হইবার সম্ভাবনা নহে, এরূপ স্থলে মাংসই একমাত্র অবলম্বন । কিন্তু আমাদের দেশে যে কুৎসিত প্রণালীতে মাংস রন্ধন করা হয়, তাহাতে পীড়িত ব্যক্তির কথা দূরে থাকুক, সহজ শরীরে ও পরিপাক করা কঠিন হয়। শূল্য বা সিদ্ধ মাংসই রোগীর পথ্য ; মসলা ও মৃত যুক্ত হইলেই গুৰুপাক হয়। মেঘমাংস লঘুপাক ও পুষ্টিকর | আমাদের দেশে মাংসভোজনের বিশেষ প্রয়োজন নাই ; কিন্তু শীতপ্রধান দেশে ইহা অধিক পরিমাণে । ব্যবহৃত। মনুষের অসভ্যাবস্থায় পশু-মাংসই প্রধান জীবনোপায়, কোন কোন জাতি নরমাংস ও খাইয়া থাকে। সভ্যতার মৃদ্ধি হইলে অন্যান্য দ্রব্য করতলস্থ হয়, তখন মাংসের ব্যবহার কমিয়া আইসে। বোধ হয়, কালক্রমে মাংসের ব্যবহার এককালে রহিত হইয়া যাইলে। অনেক হিন্দু সম্পাদয়ের মধ্যে মাংসের ব্যবহার নাই, এবং ইউরোপীয় কোন কোন লোকে মাংস পরিত্যাগ করিয়াছেন। আমেরিকা দেশে বাইবল খীষ্টান নামক সম্প্রদায় মৎস্য, মাংস ও মুর এককালে পরিহার কারয়াও মুস্থ কৰ্ম্মক্ষম আছেন । চীন, জাপান ও ভারতবর্ষের অতি অণপ লোকেই মাংস ভোজন করে । মাংসাদ জীবগণ যেরূপ উগ্রস্ব ভাব শস্য-জীবীরা তাদৃশ নহে । যে দেশের লোকে সৰ্ব্বদা মাংস ভোজন করে, তাহাদিগকে অন্যান্য লোক অপেক্ষ ভীষণ প্রকৃতি ৰলিয়।