পাতা:স্বাস্থ্য-রক্ষা.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাস্থ্য-রক্ষা। 8> পীড়াদায়ক । এতদ্দেশে অতি অলপ লোকেই ইহা ব্যবহার করিয়া থাকেন। সিম, লাউ, কুষ্মাণ্ড প্রভৃতি রোগী ব্যক্তির পক্ষে নিষিদ্ধ। যে যে তরকারীতে হরিদংশ ও জলীয় ভাগ অধিক, তাহ ব্যবহার করিলে পীড়া হইবার সম্ভাবন । ডুমুর, পটল, মোচা অনেক অংশে ভাল। আমরা যে কয়েক প্রকার মৎস্য খাইয়া থাকি, তন্মধ্যে রোহিত সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । যে যে মৎস্যে তৈল বা জলের ভাগ অধিক, তাহাতে অপকার ভিন্ন উপকার নাই । ভৈল অধিক থাকিলে পরিপাকের ব্যাঘাত হয়, ও জলীয়ভাগ অধিক হইলে শরীরের উপকার হয় না । ক্ষুদ্র মৎস্য রোগীদিগের পক্ষে অনিষ্টকর নহে। ইহাতে তৈলের ভাগ অধিক না থাকাতে সহজে পরিপাক হয়। পচা মাছ রোগের মূলীভূত,ইছ নিতান্ত নিষিদ্ধ। কৈ, মাগুর, সিঙ্গি, মকল্লা, পাকাল প্রভৃতি মাচ রোগীকেও দেওয়া যাইতে পারে, কিন্তু কোন মৎস্য জল হইতে তুলিয়া দীর্ঘকাল জীবিত রাথিয়া খাইলে আর তদ্রুপ উপকারী হয় না । ইলিশ মাচ উদরাময় রোগে নিষিদ্ধ। চিঙড়ী ও কঁকড়া সহজে পরিপাক হয় না । আমরা অনেক দ্রব্য তুৈল দিয়া ভাজিয়া খাই। যে দ্রব্য সিদ্ধ করিলে অনায়াসে পরিপাক করা যায়, ভাজিলে তাহা উগ্র হইয় উঠে। অতএব দুৰ্ব্বল শরীরে ভাজা জিনিষ খাওয়া অবৈধ। থাইলে অজীর্ণ, বুকাল প্রভৃতি উপদ্রব উপস্থিত হয়। 岛