পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

দোটানায়

সে রাত্রে অমিয়ার একটুও সুনিদ্রা হইল না। বিছানার মধ্যে অন্ধকারের আশ্রয়ে রণেন্দ্রেরে সহাস্য উজ্জ্বল মুখচ্ছবি কেবলি থাকিয়া থাকিয়া তাহার মনোদর্পণে ভাসিয়া উঠিতে ছিল। আজ বিদায়ক্ষণের সেই সুগভীর স্নেহভরা দৃষ্টি; সে দৃষ্টিতে সে কি দেখিয়াছিল তাহা যেন অনুভবের অতীত বলিয়াই তাহার মনে হইতেছিল। পৌঁছাইয়া দিবার জন্য তিনি বাগান পর্য্যন্ত সঙ্গে আসিয়াছিলেন, অমিয়া তখন লজ্জায় মানা করিতে পারে নাই। কিন্তু এখন মনে হইতেছিল ‘প্রয়োজন নাই’ বলিলেই বোধ হয় ভাল হইত। বিদায়কালে কেনই বা আর এ ভদ্রতার আদান-প্রদান! রণেন্দ্র তাঁহার নূতন কার্য্যক্ষেত্র বোম্বাই চলিয়া যাইবেন; হয় ত অমিয়ার জীবন-পথে তাঁহার ছায়াটিও আর কখনো পতিত হইবে না। তাহার কথা হয় ত তিনি চিরদিনের জন্যই ভুলিয়া যাইবেন। কেনই বা তা না যাইবেন? পথের এ দু’দিনের পরিচয়—কিসের