পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২২
স্রোতের গতি

বয়সে সামান্য কিছু ছোট হইলেও, এপর্য্যন্ত সে মীনাকে কোনদিন প্রণাম করে নাই। আজ প্রণাম করিয়া, তাহার দেওয়া সম্বন্ধের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করিয়া লইল কি না বুঝা গেল না। কেবল হাসিয়া কহিল—“ফিরে গিয়ে ঘটক-আফিসে তোমার ঠিকানাটা পাঠিয়ে দেব আগেই। ঘটকালিটি বেশ শিখেচ দেখ্‌চি। পেশাদার ঘটকদের চাইতেও বেশী। এক্ষেত্রে কিন্তু ওটা কেঁচে গেল। বুঝ্‌লে?”

 “বুঝেছি”—আনন্দের প্রবল উচ্ছ্বাসটা অনেকখানি অমিয়াকে আদর করিয়া শমিত করিয়া লইয়া মীনা হাসিমুখে কহিল—“এবারকার কাজটা কিন্তু ভাগে, বাহাদুরি সবখানিই আমার প্রাপ্য নয়। এ কথা অস্বীকার না কল্লে প্রত্যবায়ভাগী হ’তে হবে। বিদায়টা কিন্তু নগদে চাই—ধারে কারবার আর কর্‌ব না। তুমি বাক্স গোছাও, আমি ততক্ষণ ওদিকের ঘরটা একবার দৌড়ে ঘুরে আসি ভাই”—বলিয়া হাসিয়া সে ছুটিয়া ঘরের বাহির হইয়া গেল। আকণ্ঠ লজ্জায় রাঙ্গা হইয়া, বিপন্ন বিব্রতভাবে অমিয়া তাহাকে কাজের ছুতায় আট্‌কাইবার চেষ্টা করিয়াও সফল হইল না। সে কেবল মুখ ফিরাইয়া হাসিয়া কহিল—“শুধু ঘট্‌কালী নয় ভাই, ডাক্তারিও যে শিখ্‌চি এখন। রোগীর অবস্থা যে রকম কাহিল দেখে এসেচি, তাতে দেরী